বৈরী আবহাওয়ার কারণে দু’দিন বন্ধ থাকার পর মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে চলাচল লঞ্চ ও স্পিডবোট শুরু হয়। তবে নাব্য সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পীড বোট স্বাভাবিকভাবে চলছিলো। আবহাওয়া অধিদপ্তরও এ নৌপথকে ২নম্বর বিপদ সংকতের আওতায় নিয়ে আসে। যদিও দুই নম্বর বিধি নিষেধের জন্য ৬৫ ফুটের নিচে নৌযান বন্ধ রাখতে হয়। এখানে যে লঞ্চগুলো আছে প্রত্যেকটি ৬৫ ফুটের উপরে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদীতে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস ছিল। লঞ্চ চলাচল করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নৌরুটে চলাচল করা ৮২টি লঞ্চ ও ৪ শতাধিক স্পিডবোট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শনিবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহদাত হোসেন জানান, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় দু’পাড়ের কয়েক হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে ছিল। আজ ( গতকাল শনিবার) সকাল ৮টা থেকে আবারো চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখন সমস্যা হচ্ছে চ্যানেলের নাব্য-সংকট। যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো নদীর তলদেশের ডুবোচরে আসা-যাওয়ার পথে আটকে যাচ্ছে। কোনো রকমে চলছে। জানিনা কখন এ কারণে লঞ্চ বন্ধ হয়ে যায়।
এ দিকে নাব্য-সংকটের জন্য গত ৯ দিন ধরে এ পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তীব্র স্রোত ও নাব্য-সংকটে তিন মাস ধরেই এ নৌপথে ফেরি চলাচল ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত আগস্ট মাসে মাঝে মধ্যেই রাতে বন্ধ রেখে দিনে ফেরি চালানো হতো। সংকট তীব্র আকার ধারণ করে সেপ্টেম্বর জুড়ে। সেপ্টেম্বর মাসে পাঁচ দফায় ১৭ দিন ফেরি বন্ধ ছিল এবং চলতি মাসের তিন দফায় ১১ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ অক্টোবর সকাল ছোট ৪-৫ টি ফেরি চলছিল। সেদিন দুপুরের দিকে আবারো নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। ফলে সেদিন বিকেল থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ফেরি বন্ধ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ মহাব্যবস্থাপক শফিক আহমেদ বলেন, আজও (গতকাল শনিবার) লৌহজং বিকল্প চ্যানেলের পাশ দিয়ে নতুন একটি চ্যানেলে খনন চলছে। চ্যানেলটি পদ্মা সেতুর ৩৮ নম্বর খুঁটির পাশ দিয়ে হচ্ছে। খনন কাজ শেষ হয়নি। বিআইডব্লিউটিএর লোকজন আমাদের চ্যানেল বুঝিয়ে দিলেই আমরা ফেরি চালাবো। তবে কবে নাগাদ ফেরি চলতে শুরু করবে সেটা এখনো অনিশ্চিত।