যমুনা নদীর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ায় আবার নতুন করে বসতবাড়ীতে পানি ওঠতে শুরু করেছে। এতে বানভাসীদের মধ্যে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এখনো পর্যন্ত কেউ বসতভিটায় কেউ ফিরে যেতে পারেনি। অনেকেই ওয়াপদাবাঁধে ঝুপড়ি তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যদিকে, পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করায় বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নিঃস্ব হয়ে পড়ছে ভাঙ্গন কবলিতরা।
খোলা আকাশের নীচে বসবাস করলেও কোনো সহায়তা পৌঁছেনি এসব মানুষের কাছে। এদিকে, বন্যার কারণে স্বপ্নের ফসল পাট, তিল, কাউন, সজ ও বাদাম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা। এছাড়াও বন্যায় ও ঢেউয়ের আঘাতে বসতবাড়ী ক্ষতি হওয়ায় মেরামত নিয়েও শঙ্কা পড়েছে বন্যা কবলিতরা।
ইতোমধ্যে বন্যার কারণে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ৩৩টি ইউনিয়নের প্রায় ২১৬টি গ্রামের ২৫ হাজার পরিবারের দেড় লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হযেছে। বন্যায় পাচ শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। চার হাজার হাজার হেক্টর ফসল জমি নষ্ট হয়েছে। ১৬ কিলোমিটার রাস্তা নষ্ট হয়ে পড়েছে। পানি কমার সাথে সাথে এনায়েতপুর, চৌহালী ও কাজিপুরের খুদবান্দি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বসতভিটা বিলীন হচ্ছে। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে সাধারন মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ৯ সে.মি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। বড় বন্যার শঙ্কা রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।