মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মূলজান-বাগজান গ্রামে মাঠজুড়ে আবাদ হয়েছে সরিষা। হলুদ ফুলে ভরে গেছে মাঠ। ইতোমধ্যে সরিষা থেকে মৌমাছির সাহায্যে মধু সংগ্রহ শুরু করেছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের মধুচাষী মো. সেলিম রেজা বাবলু। ৯ বছর ধরে এই এলাকায় মধু সংগ্রহ করেন তিনি। এ বছর পর প্রায় ২০ দিন আগে থেকে মধু চাষ শুরু করে এরইমধ্যে প্রায় ৪ মণ মধূ সংগ্রহ করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরিষা থেকে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহের ফলে সরিষার পরাগায়ন বেশি হয়। ফলে সরিষার ফলন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি হয়। এতে কৃষক ও মধুচাষী উভয়েই উপকৃত হয়।
মধুচাষী মো. সেলিম রেজা বাবলু জানান, অস্ট্রেলিয়ার মেলিফিরা প্রজাতির ১টি রাণী মৌমাছি, কিছু শ্রমিক মৌমাছি এবং কিছু পুরুষ মৌমাছি দিয়ে প্রতিটি মৌমাছির বক্স সেট করা হয়। প্রতি বক্স মৌমাছি দিয়ে সপ্তাহে প্রায় ৫ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়। করোনার কারণে গতবছরের চেয়ে এবছর মধুর চাহিদা অনেক বেশি। উৎপাদন হওয়ার সাথে সাথেই মধু বিক্রি হয়ে যায়। এবছর প্রতিকেজি মধু ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবছর মানিকগঞ্জের মূলজান-বাগজান এলাকা থেকে ৩০ মণ মধূ সংগ্রহ করা হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। সারা বছর বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মধূচাষী ১০০ মন মধূ উৎপাদন করেন বলেও জানান তিনি।
মূলজান এলাকার কৃষক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, মৌমাছি দিয়ে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের কারণে প্রতি একর জমিতে প্রায় ৫ মণ সরিষা বেশি ফলন হয়। বেশি ফলনের আশায় খুশি হয়েই আমাদের জমির পাশেই মৌমাছির বক্স বসতে দেই।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরিষা ফুল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদনের ফলে মধুচাষী ও কৃষক উভয়েই উপকৃত হয়। মৌমাছির কারণে সরিষার পরাগায়ন বেশি হয়। ফলে সরিষার ফলন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি হয়।
তিনি আরো জানান, এবছর মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রায় ৬০০মৌমাছির বক্স বসানো হয়েছে। আর মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৮ টন।