মন্ত্রিসভায় ফের আলোচিত হবে ডিজিটাল আইন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে তিন মন্ত্রীর বৈঠক

মন্ত্রিসভায় ফের আলোচিত হবে ডিজিটাল আইন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১ অক্টোবর, ২০১৮

ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের আপত্তির বিষয়টি মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য তোলা হবে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে পত্রিকার সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে তিন মন্ত্রী ও এক উপদেষ্টার প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা জানান। এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর আবারো তারা সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বসবেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে এ রকম একটা আইন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে, আমরা সেই ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিন্তু এ রকম একটা আইন যেন সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বা বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন না করে- সে ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন আছে।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘অন্যান্য ধারা নিয়ে কারো বক্তব্য নেই।’

তিনি বলেন, ‘৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে, সেখানে অনেক এজেন্ডা আছে, হয়তো সেখানে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে না। এরপরে যে কেবিনেট মিটিং হবে সেখানে এটাকে আমি উপস্থাপন করব। এডিটরস কাউন্সিলের যে আপত্তিগুলো তা তুলে ধরব। আলোচনা করার জন্য যে টার্মস অব রেফারেন্স দেওয়া হবে সে অনুসারে আমরা আবার আলোচনায় বসার জন্য সম্মত হয়েছি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খবরের কাগজে সম্পাদক পরিষদের আপত্তিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য তথ্যমন্ত্রী এবং আইসিটি মন্ত্রীসহ আমরা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করব। ২১ ধারাটি মোটামুটি আমরা অ্যাগ্রি করেছি, যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। কিছু যদি আরো ভালো করা যায় চিন্তা করা হবে।’ আলোচনায় সরকারের পক্ষে আইনমন্ত্রী ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য সচিব আবুয়াল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের নেতৃত্বে নিউজ টুডের রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রথম আলোর মতিউর রহমান, নিউ এজের নুরুল কবীর, মানবজমিনের মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নঈম নিজাম, যুগান্তরের সাইফুল আলম, কালের কণ্ঠের ইমদাদুল হক মিলন, ইনকিলাবের এএমএম বাহাউদ্দীন, ঢাকা ট্রিবিউনের জাফর সোবহান, ইনডিপেনডেন্টের শামসুর রহমান, বণিক বার্তার দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সমকালের মুস্তাফিজ শফিসহ আরো কয়েকজন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী ও আইসিটি মন্ত্রী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের আপত্তির সুরাহা না করেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে ওই আইন পাস করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে ‘বাকস্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থী’ আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে ২৯ সেপ্টেম্বর মানববন্ধনের কর্মসূচি দেয় সম্পাদক পরিষদ। পরে রাজপথের কর্মসূচিতে না নামার অনুরোধ জানিয়ে সম্পাদক পরিষদকে চিঠি দেন তথ্যমন্ত্রী। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয় সম্পাদক পরিষদ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads