ভূঞাপুরে করোনার প্রভাব পড়তে পারে  কোরবানি পশুর হাটে, দাম পাওয়া নিয়ে সংশয় 

ছবি: বাংলাদেশের খবর

পণ্যবাজার

ভূঞাপুরে করোনার প্রভাব পড়তে পারে  কোরবানি পশুর হাটে, দাম পাওয়া নিয়ে সংশয় 

  • ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই, ২০২০

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে গরু খামারিদের মাঝে বাড়ছে আতঙ্ক । মহামারি করোনার প্রভাব পড়তে পারে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কোরবানির পশুর হাটে। এতে  গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে শংঙ্কায় রয়েছেন তারা।  দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরণে  এ বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৭  হাজার পশু। 

উপজেলার বিভিন্ন খামারীরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে দেশে লালন-পালন করা গরু  দিয়ে কোরবানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। তাই ঈদকে সমানে রেখে পশু মোটাতাজা করণে অনেক খামারি ঋণের বোঝা কাধে নিয়ে ব্যয় করেছেন নগদ অর্থ। 

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সুত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলাতে স্থায়ী,  মৌসুমি খামার ও পারিবারিকভাবে গরু, ছাগল, ভেড়াসহ, ১৬ হাজার ৮৫৬ টি গবাদিপশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুুত  রয়েছে। এর মধ্যে ষাড় রয়েছে ১০ হাজার ৬০২টি, বলদ ১৭৫৪টি, ছাগল ৩৮৫০ টি ও ভেড়া রয়েছে ৬৫০টি। 

উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের জেলার বড় খামারী দুলাল হোসেন চকদার  বলেন,  এ মৌসুমে  আমার খামারে বিভিন্ন জাতের ৫৫ টি গরু মোটাতাজাকরণ করে ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছি। প্রতিটি গরুকে দেশীয় পদ্ধতিতে গো-খাদ্য খাইয়ে  মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারনে এসব গরু বিক্রি হবে কিনা তা নিয়ে শংঙ্কায় আছি। আমার খামারে সর্বনিম্ন তিন থেকে দশ লক্ষ্য টাকা দামের গরু রয়েছে। অনেকেই সারা বছর গরু পালনের পর কোরবানির ঈদে  তাদের কাঙ্খিত বিক্রির সময়। সেই  লক্ষ্যে চলছে তাদের শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা।

উপজেলার গাবসারা  ইউনিয়নের রুলীপাড়া  গ্রামের আবুল কালাম  জানান, তার পালিত ৫টি  গরু বিক্রি করতে পারলে সে  টাকায় মিটবে পরিবারের চাহিদা। গরুর ন্যায্য দাম পেলে সে  অর্থ দিয়ে আবারো নতুন গরু কেনার লক্ষ্য রয়েছে তার। কিন্তু শঙ্কায় রয়েছেন এবছর করোনা প্রার্দুভাবে গরুর কাঙ্খিত দাম পাবেন কিনা।

ভূঞাপুর  উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.স্বপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ভূঞাপুরে  বাণিজ্যিক ভাবে ছোটবড় ১ হাজার ৮৫০টি গরুর খামার গড়ে উঠেছে। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পারিবারিকভাবে ও কিছু  ক্ষুদ্র খামারি পশু পালন করেন। আশা করছি, এ বছরও তারা লাভবান হবে। গত বছর ভূঞাপুরে কোরবানির জন্য ১২ হাজার ৫গগ  পশুর চাহিদা ছিল। এবছরে ১৩ হাজারের মতো পশুর  চাহিদা রয়েছে। আমাদের প্রাণী  সম্পদ অফিসের লোকজন সব সময় খামারীদের  পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads