ভিসা হলেও শেষ পর্যন্ত হজে যেতে পারেননি ৬৮ জন

এজেন্সির প্রতারণার কারণে ভিসা হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত যেতে পারেননি ৬৮ জন যাত্রী

সংরক্ষিত ছবি

জাতীয়

ভিসা হলেও শেষ পর্যন্ত হজে যেতে পারেননি ৬৮ জন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ অগাস্ট, ২০১৮

এবারো এজেন্সির প্রতারণার কারণে ভিসা হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত হজে যেতে পারেননি ৬৮ জন হজযাত্রী। এছাড়া হজ এজেন্সিগুলোর অবহেলা, অনাগ্রহ, গুরুতর অসুস্থ এবং মৃত্যুজনিত কারণে আরো ৬০৬ জন হজে যেতে পারেননি। সব মিলিয়ে এ বছর ৬৭৪ জন হজে যেতে পারেননি। গতকাল শনিবার থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার জন্য মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন নিবন্ধন করেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তার মধ্যে সৌদি এয়ারলাইনসে ৬৩ হাজার ২৪০ জন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে ৬২ হাজার ৮১০ জন। বিমানের সবশেষ হজ ফ্লাইট ছেড়ে গেছে ১৫ আগস্ট এবং সৌদি এয়ারলাইনসের সবশেষ হজ ফ্লাইট ছেড়ে গেছে ১৭ আগস্ট। এদিকে ৬৮ জন হজযাত্রী ভিসাসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করেও এজেন্সিগুলো বিমানের টিকেট না কাটায় তারা এবার আর হজে যেতে পারেননি। এছাড়া হজ এজেন্সিগুলোর অবহেলা, অনাগ্রহ, গুরুতর অসুস্থ ও মৃত্যুজনিত কারণে আরো ৬০৬ জন হজে যেতে পারেননি। গত বছরও ভিসা পাওয়ার পর ৯৮ জন হজে যেতে পারেননি। এ কারণে সে সময় ১৮টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছিল। এছাড়া ভিসা ও নানা জটিলতায় আরো ৩৬৭ জন গতবার সৌদি আরব যেতে পারেননি।

এ প্রসঙ্গে হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, যেসব এজেন্সির কারণে এবার যারা হজে যেতে পারেননি সেসব হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর সর্বোচ্চসংখ্যক হজযাত্রীকে হজে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এবার আমাদের অর্জন অনেক ভালো। গুটিকয়েক এজেন্সির কারণে কিছু হজযাত্রীর যাত্রা বাতিল হলেও হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কিছুই করার ছিল না। আমরা বার বার তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু ওই এজেন্সিগুলো তাতে সাড়া দেয়নি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ হজ মেডিকেল সেন্টারের টিমপ্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খান জানিয়েছেন, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নির্দেশনায় মিনার মাঠে অসুস্থ বাংলাদেশি হাজীদের চিকিৎসা দিতে ৪০ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন ডাক্তার, ১৫ জন নার্স, ব্রাদার, ফার্মাসিস্ট, ওটি সহকারী ও ১০ জন হজ সহায়ক রয়েছেন। তারা ৮ ঘণ্টা করে তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া আরাফাত ও মিনার আশপাশে সৌদি সরকারের কয়েকটি স্থায়ী হাসপাতালে দুজন করে ডাক্তার থাকবেন।

অপরদিকে এ বছর সরকারি খরচে হজে গেছেন ৩৪১ জন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। এসব ব্যক্তি হজে প্যাকেজ-২-এর সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads