বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে এ মাসেই

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

সংগৃহীত ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে এ মাসেই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস। গতকাল বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘কয়লায় যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য বাইরে থেকে কিছু কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম সিঙ্গাপুর ঘুরে এসেছে। এই মাসের পর থেকে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’

বিদ্যুৎ সচিব আরো বলেন, ‘বিমসটেকে (বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা জোট) একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সই হয়েছে। সাত দেশের মধ্যে আন্তঃদেশীয় গ্রিড স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী কিছুদিন আগে নেপাল সফর করেছেন, সেখানে একটি চুক্তি সই হয়েছে। ভুটানের সঙ্গেও চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। আন্তঃদেশীয় ও দ্বিপক্ষীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আরইবির চেয়ারম্যান মুঈন উদ্দিনসহ অনেকে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’। ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, নতুন যৌবনের দূত’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিতব্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় বিদ্যুৎ খাতের চেয়ে জ্বালানি খাত কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সচিব বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন যেভাবে দৃশ্যমান হয়, জ্বালানি খাতের অ্যাক্টিভিটিস (কার্যক্রম) সেভাবে দৃশ্যমান হয়নি। আমরা হয়তো কিছুটা পিছিয়ে আছি এটা ঠিক, স্বীকার করি। তবে জ্বালানি সেক্টরও বসে নেই।’

এরপর প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘জ্বালানি সময়মতো না এলে বিদ্যুৎ বিভাগ এতদূর এগোতে পারত না। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন তৈরি হচ্ছে, নতুন রিফাইনারি হচ্ছে। আগামীতে জ্বালানিও বড় একটা জায়গা দখল করবে।’

পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিতে ঘুষ দিতে হয়, ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়, গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করে সেটা আবার লাগাতে হয়, এই চুরির সঙ্গে আরইবির (পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড) কর্মীরা জড়িত- সাংবাদিকরা এসব প্রশ্নের উত্তরে আরইবির চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে মাইকিং করে টাকা দেওয়ার দরকার নেই। যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ পর্যন্ত ছয়জন জিএম, ডজনখানেক ডিজিএম শাস্তি পেয়েছেন।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads