ছুটির দিনে সবাই বারবার ফিরে যেতে চায়; আর সেটা যদি হয় বার্ষিক উৎসবের দিন তখন তো আনন্দের সীমাই থাকে না। এটি প্রতি বছর একই দিনে আমাদের মাঝে ফিরে আসে যা সত্যিই আমাদেরকে নস্টালজিক করে তুলে। যদিও এই বছর কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ছুটির দিনগুলি অন্যরকম দেখাচ্ছে, তবুও ক্রিসমাসের সময়টি আনন্দ, ভালবাসা এবং উল্লাসে পূর্ণ হওয়ার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। আর সে ধরনের কিছু উপায় নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন-
ক্যালেন্ডার, ব্যাগ :
অবশ্যই, আপনি আপনার বাচ্চাদের পছন্দের জিনিসগুলোর উপর ভিত্তি করে একটি ক্যালেন্ডার কিনতে পারেন; পাওয়ার সাথে সাথে তাদের যে উল্লাস, খুশিখুশি ভাব সেটা আনন্দ নিয়ে আপনি দেখে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। এছাড়াও নিজের তৈরি করা ছোট ব্যাগ উপহার হিসেবে পরিবারের যে কাউকে দিয়ে উল্লাসিত করে তুলতে পারেন পুরো পরিবেশ।
এ্যালবাম :
পুরো বছর জুড়ে আমাদের অনেক স্মৃতিবিজড়িত ঘটনার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি থাকে সেগুলো একসাথে করে এ্যালবাম তৈরি করে ক্রিসমাসের দিন উপহার দিতে পারেন। এছাড়াও ছোটকালের প্রিয় জিনিসগুলো সাজিয়ে একটি ক্রিসমাসের সন্ধ্যা উপহার দিতে পারেন। যে সন্ধ্যাটি হবে অন্যান্য ক্রিসমাসের চেয়ে আনন্দদায়ক, উৎসবমুখর।
অলঙ্কার:
একটি বছর একটি গাছের মতো। বছরে গাছটি যেমন ছাঁটাই করা হয়; তেমনি বছরের শেষ সময়ে বিগত বছরের স্মৃতি ফেলে নতুন স্মৃতির সন্ধান করতে হয়। ক্রিসমাসের সময়ে অতীতের সবকিছু ভুলে নতুনরূপে অলঙ্কার উপহার দিতে পারেন। অলঙ্কার এমন কোনও জায়গা থেকে আনুন যেটি তার প্রিয় স্থান বা প্রিয় বন্ধুকে সেখানে খুঁজে পেয়েছিল।
কার্ড বা চিঠি :
ক্রিসমাসে’তে নন্দনীয় কার্ড বা ছোট একটি চিঠিও উপহার দিতে পারেন। এছাড়া সারাবছর আপনার পাওয়া কার্ডগুলো বা চিঠি বাড়ির কোথাও প্রদর্শনের মতো একটি মজাদার উপায়ও বের করতে পারেন।
ভার্চুয়াল যোগাযোগ :
বর্তমানে করোনাভাইরাসের জন্যে হয়তো আপনার প্রিয়জন দূরে আছে। ক্রিসমাসের আনন্দে যোগ দিতে পারছে না; তাই ভার্চুয়ালভাবে যোগাযোগ করে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে পারেন। রাখতে পারেন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠান। আর ক্রিসমাসের সারাটি দিন হেসেখেলে কাটিয়ে দিতে পারেন।
একসাথে রান্না করুন:
ছুটি পেলেই হয়তো আমাদের ঘুম মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। বিছানা ছাড়তে চায় না শরীর। কিন্তু না, ক্রিসমাসের ছুটিতে না ঘুমিয়ে সকাল সকাল পরিবারের সবাইকে নিয়ে রান্নায় মেতে উঠুন। সবার পছন্দের খাবার রান্না করুন সবাই মিলেমিশে। তাতে রান্নার প্রতি পরিবারেরে ছোটরা উৎসাহ পাবে আর ক্রিসমাসের বিভিন্ন পদের রান্নাও হয়ে যাবে।
অর্ডার করুন:
কোভিড-১৯ এর কারণে পরিবারের একেক সদস্য হয়তো একেক জায়গায় অবস্থান করছে। ক্রিসমাসেতে প্রিয়জনের প্রিয় খাবার অর্ডার করে পাঠিয়ে দিতে পারেন তার কাছে। প্রিয় খাবারের পাশাপাশি ক্রিসমাসের খাবারগুলোও রেঁস্তোরা থেকে অর্ডার করে প্রিয় মানুষের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন।
সারাটা দিন খেলায় সঙ্গ:
আপনার প্রিয় মানুষটি যদি খেলা পাগল হয়ে থাকে তবে বসে না থেকে ক্রিসমাসেতে বিভিন্ন ধরনের খেলায় মেতে থাকতে পারেন। এছাড়াও পারিবারিকভাবে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করতে পারেন; সর্বশেষ পরিবারের যে সদস্য চ্যাম্পিয়ন হবে, সেই পরের বছরের ক্রিসমাস অবধি পারিবারিক চ্যাম্পিয়ন থাকার সেই রীতি চালু করতে পারেন।