ব্ল্যাক বক্সের খোঁজে সমুদ্রের নিচে অনুসন্ধান

বিধ্বস্ত বিমান ও এর আশপাশের জায়গা থেকে মরদেহ সংগ্রহ করে ব্যাগে ভরে হাসপাতালে পোস্টমর্টেমের জন্য আনা হয়

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

মৃতদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা

ব্ল্যাক বক্সের খোঁজে সমুদ্রের নিচে অনুসন্ধান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৩৭ বিমানটির খুঁজে পাওয়া আরোহীদের মৃতদেহের ডিএনএ শনাক্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে গতকাল সোমবার পর্যন্ত বিমানের সব আরোহীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা (বাসারনাস)। এদিকে উড়োজাহাজের ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডার ও যাত্রীদের খোঁজে সমুদ্রের নিচে অনুসন্ধানকারী ব্লুটুথ রেডিও ট্রান্সমিটার (বিকন) ও ড্রোন মোতায়েন করেছে ইন্দোনেশিয়া। সিএনএনের খবর।

ডেপুটি ন্যাশনাল পুলিশের প্রধান এরি দোনো সুকমান্তো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সর্বশেষ একটি শিশুর মৃতদেহ ও কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির শরীরের অংশ এবং জুতা ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের প্রকৃত পরিচয় জানতে এগুলোর ডিনএনএ পরীক্ষা করা হবে। তবে মরদেহের পরিচয় খুঁজে বের করা কঠিন হবে বলে উল্লেখ করেছেন সুকমান্ত। কারণ অল্পসংখ্যক মরদেহই অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিধ্বস্ত বিমান ও এর আশপাশের জায়গা থেকে মরদেহ সংগ্রহ করে প্রায় ২৪টি ব্যাগে করে হাসপাতালে পোস্টমর্টেমের জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এই ব্যাগগুলোতে মোট কতটি মরদেহ রয়েছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি।

উদ্ধার অভিযানে ৬৫১ পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এ ছাড়া মরদেহ ও অন্যান্য জিনিসপত্র পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন ১৫ ফরেনসিক অফিসার। মেডিকেল রেকর্ডের জন্য নিহতদের ১৩২টি পরিবারের সদস্যের প্রায় ১৫১ জনের ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়েছে ফরেনসিক বিভাগ থেকে। রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিট পরই গত সোমবার সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার যোগাযোগ নিরাপত্তাবিষয়ক প্যানেলের প্রধান সোয়েরজানতো তিজাহজোনো বলেন, কী কারণে প্রায় নতুন এ বিমানটি বিধ্বস্ত হলো, ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেলে সে সম্বন্ধে ধারণা করা যাবে। সাগরের যে এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে পানির নিচে ৩০ থেকে ৩৫ মিটার গভীরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ডুবুরিরা। গত সোমবার পশ্চিম জাভার কারাওয়াং উপকূলের কাছে যেখানে বিমানটির কিছু ধ্বংসাবশেষ মিলেছিল, সেখানকার পানির নিচেও চারটি অনুসন্ধানকারী যন্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে বলে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে। ধ্বংসাবশেষ ও নিখোঁজদের সন্ধানে ১৫টি নৌযানও অভিযান চালাচ্ছে।

রাতে উদ্ধার অভিযান বন্ধ থাকলেও অনুসন্ধানকারী যন্ত্রগুলো ও আন্ডারওয়াটার বিকনটি অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছিল। বিধ্বস্ত বিমানটির কেউই বেঁচে নেই বলে এর আগে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ। এদিকে সব কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারকে লায়ন এয়ারের ফ্লাইট এড়িয়ে চলতে বলেছে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads