১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাকামীদের সমর্থন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীকালে মুজিব সরকারকেও সহযোগিতা করার ব্যাপারে মার্কিন রাষ্ট্রনীতি ছিল সংশয়াচ্ছন্ন। নানা নথিতে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত ভূমিকাই উঠে এসেছে।
১৯৭৫-এর ৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইএ বোস্টার। বোস্টার জানতেন খুনিদের তৎপরতা। তিনি শেখ মুজিবকে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করেননি। বরং ঘটনার অনুচক্র হিসেবে কাজ করেছেন। মুজিব হত্যায় তার ভূমিকা পরে প্রকাশিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার নেপথ্যে তার ভূমিকার কথা সর্বজনবিদিত।
ওইদিন সাড়ে ১০টায় সাক্ষাৎ করেন শিল্পমন্ত্রী। বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে সিলেটের সাংসদ মোহাম্মদ ইলিয়াস, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ও গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী সাক্ষাৎ করেন। তবে এই তিন সংসদ সদস্যের কেউই মোশতাককে সমর্থন করেননি। ফলে মানিক চৌধুরীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামসুর রহমান বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন এবং গাইডলাইন নেন। ২০ আগস্ট তিনি মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎ করেন বেতারের ডিজি আশরাফুজ্জামান খান।
৪ আগস্ট সোমবার। সকাল ১০টায় দেখা করেন পাকিস্তান ফেরত মেজর জেনারেল মাজেদুল হক। ঢাকায় আসার আগের দিনও পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করেছেন। ঢাকায় স্ক্রিনিং বোর্ড তাকে বাদ দেয়। কিন্তু তদবিরে সফল হয়ে সেনাবাহিনীর চাকরি ফিরে পান। পরে তিনি জিয়া ও খালেদার মন্ত্রী হন। এই দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মোয়াজ্জেম চৌধুরী, সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কৃষক লীগ নেতা রহমত আলী এমপি সাক্ষাৎ করেন। তিনি মোশতাকের ‘স্বনির্ভর বাংলাদেশ’ কর্মসূচির কর্ণধার ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মস্কোতে নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত শামসুল হক সাক্ষাৎ করেন।