বীরাঙ্গনা চরিত্রে তিশা

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

বীরাঙ্গনা চরিত্রে তিশা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ মার্চ, ২০২১

মুক্তিযুদ্ধনির্ভর গল্পের একটি ওয়েব ফিল্মে বীরাঙ্গনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিশা। ওয়েব ফিল্মের নাম ‘নৈবেদ্য’। শ্যামল চন্দ্রের লেখা মুক্তিযুদ্ধের গল্প থেকে ‘নৈবেদ্য’র চিত্রনাট্য তৈরি করেছিলেন মান্নান হীরা। ওয়েব ফিল্মটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন শাব্দিক শাহীন ও সিহানুর রহমান আসিফ।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে আটকে পড়া এক বীরাঙ্গনা নারীকে উদ্ধার এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সমাজে তার সন্তানের পরিচয় নিয়ে সংকট ও জীবন-সংগ্রামকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে ‘নৈবেদ্য’র গল্প। ওয়েব ফিল্মটির অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে তারিক আনাম খান, হাসান ইমাম, দীপক কর্মকার, সাইকা আহম্মেদ, শাহাজান সম্রাট প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে থাকবেন রওনক হাসান। ২৬ মার্চ  স্বাধীনতা দিবসে ওয়েব ফিল্মটির ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম বঙ্গতে।

১৯৯৫ সালে ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মিডিয়াযাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে টিভি নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয়জীবন শুরু। ১৯৯৭ সালে অনন্ত হিরার লেখা ও আহসান হাবীবের প্রযোজনায় ‘সাতপেড়ে কাব্য’ নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে ‘সাত প্রহরের কাব্য’ নাটক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় অভিষেক হয়। নাটকটি রচনা করেন অনন্ত হিরা আর পরিচালনা করেন আহসান হাবীব। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরতে হয়নি। একের পর এক জনপ্রিয় নাটক দর্শককে উপহার দিয়েছেন।

তিশার উল্লেখযোগ্য নাটক হলো ‘নুরুল হুদা একদা ভালোবেসেছিল’, ‘অরণ্যে জ্যোৎস্না’, ‘লাইফ’, ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য’, ‘এলোমেলো মন’,  ‘মুনিরা মফস্বলে’, ‘ঈদের টিকেট’, ‘আরমান ভাই’, ‘আরমান ভাই কয়া পারছে’,  ‘আরমান ভাই ফাইস্যা গেছে’, ‘আরমান ভাই বিরাট টেনশনে’, ‘আরমান ভাই দি জেন্টেলম্যান’, ‘আরমান ভাই হানিমুনে’, ‘মিথ্যুক’ ইত্যাদি। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিশা। দর্শকের বেশ প্রশংসা পেয়েছেন। ২০১৬ সালে তার অভিনীত দুটি বাণিজ্যিক সিনেমা মুক্তি পায় ‘অস্তিত্ব’ ও ‘ওয়েটিং রুম’। ‘অস্তিত্ব’ সিনেমায় তিনি একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করেন। অনন্য মামুন পরিচালিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন আরিফিন শুভ। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ৪১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৭ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ সিনেমায় একজন স্বনামধন্য পরিচালকের কন্যা চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন। এতে তার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন ইরফান খান। একই বছর তিনি ‘হালদা নদী’ নিয়ে সচেতনতামূলক হালদা সিনেমায় হাসু চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করেন। ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘টেলিভিশন’সহ আরো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন তিশা। তিনি মেরিল লিপজেলের বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে মডেল হিসেবে যাত্রা করেন। এরপর একে একে কোকা-কোলা, সিটিসেল, কেয়া সাবানের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিশা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads