বিশ্বের অপরূপ সৌন্দর্যের ১০টি ক্যাম্পাস

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি

ছবি : ইন্টারনেট

ফিচার

বিশ্বের অপরূপ সৌন্দর্যের ১০টি ক্যাম্পাস

  • প্রকাশিত ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

সুখী ইসলাম

উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ সিঁড়ির নাম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাচীনকাল থেকেই চলমান একই ধরনের শিক্ষাপদ্ধতি। বর্তমানে জ্ঞানপিপাসু অধিকাংশ মানুষই তাদের জ্ঞানভান্ডারকে এখান থেকে সমৃদ্ধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের শুধু জ্ঞানদান করেই ক্ষান্ত হয় না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, আমাদের চোখকেও বিনোদিত করে তার মনোরম ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থী প্রত্যেকের মধ্যেই পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে। কৌতূহলী সেসব পাঠকের জন্য আজকের ফিচার। আজ থাকছে বিশ্বের দশটি অপরূপ ১০টি ক্যাম্পাস নিয়ে আলোচনা-

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি : কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দেওয়ার দরকার হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় হার্ভার্ড নিজেই। ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। হার্ভার্ড বিখ্যাত এর লাল দালান আর গাছপালায় ভরপুর চত্বরগুলোর জন্য। সুপ্রাচীন আর অভিজাত জর্জিয়ান নির্মাণশৈলীর অন্যতম  নিদর্শন এখানকার ম্যাসাচুসেটস হল, যা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরনো ভবন। ম্যাসাচুসেটস হলে স্থান পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টদের অফিস।

বোলোগনা ইউনিভার্সিটি : বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ইতালির বোলোগনা বিশ্ববিদ্যালয়, যার প্রতিষ্ঠা ১০৮৮ সালে। প্রাণোচ্ছল ইউনিভার্সিটি কোয়ার্টার, লাল ছাদের বিল্ডিংগুলো আর আকাশচুম্বী সব পিলার। ১০৮৮ সালের পুরনো স্তম্ভের সারিগুলো এবং চমৎকার খিলানপথে ভরপুর। সব মিলিয়ে এই ক্যাম্পাসকে করে তুলেছে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোর একটি।

সালামাস্কা ইউনিভার্সিটি : পশ্চিম স্পেনের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এমন একটি স্থাপনা যেটি ‘না দেখলেই নয়’। তেরো শতকের দিকে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয় সুসজ্জিত স্প্যানিশ স্টাইলে যা ‘প্ল্যাটারেস্ক’ নামে পরিচিত। বিশাল এই ক্যাম্পাসটির সদর দরজা বিশেষভাবে নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। অসংখ্য খোদাইয়ের সমারোহ এখানে, যার মধ্যে একটি মাথার খুলির ওপর বসানো আছে একটি ব্যাঙ। প্রচলিত আছে, যে ব্যক্তি এই ব্যাঙ খুঁজে পায়, সে  সৌভাগ্যবান।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি : প্রতিষ্ঠার সঠিক দিন-তারিখ কারো জানা নেই। ঐতিহাসিকরা ১০৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার প্রমাণ পেলেও কার্যক্রম শুরু হয় ১১৬৭ সালে। স্বপ্নময় গম্বুজ আর সোনালি পাথরের এই ক্যাম্পাসের আবেদন আর উৎসাহ ছড়িয়ে আছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বিশেষ করে নির্মাণশৈলী প্রকাশ করে আঠারো শতকের ‘র‍্যাডক্লিফ ক্যামেরা বোডলেইয়ান লাইব্রেরি আর ম্যাগড্যালেন কলেজ’।

ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি : অক্সফোর্ড যে তালিকায় রয়েছে, ক্যামব্রিজ কি আর সেখানে না থেকে পারে। প্রাচীন এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১২০৯ সালে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ চ্যাপেল আর ক্যাম্পাসের পেছন দিককার নদীর (ব্যাকস নামে পরিচিত) এলাকাটিই মূলত নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের।

মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি : মস্কো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনটি ৩৬ তলা পর্যন্ত উঁচু এবং এর ভিত্তি পুলের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। রাতের বাহারি আলোকসজ্জা দেখে মনে হতেই পারে এটি কোনো অভিজাত হোটেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘শিক্ষা অবকাঠামো।’ কিন্তু আসলে এটি রাশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। প্রধান ভবনে একটি কনসার্ট হল, থিয়েটার, জাদুঘর ও সুইমিং পুল আছে।

মুম্বাই ইউনিভার্সিটি : উনিশ শতকে বিশ্ববিদ্যালটির মূল ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়, যার ভেতর রয়েছে অনেক সুন্দর বিল্ডিং। যার মধ্যে পেঁচানো সিঁড়িতে নজর কাড়ে সবার। এই ক্যাম্পাস ‘বিগ বেন’-এর ওপর মডেল করা এবং এটি ভারতের মুম্বাই শহরের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ল্যান্ডমার্ক।

সিডনি ইউনিভার্সিটি : বিশ্ববিদ্যালয়টির সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে এর ‘নিও-গথিক’ চতুষ্কোণ। ১৮৫০ সালে যার ডিজাইন করেন এডমুন্ড ব্ল্যাকেট। ‘গ্রেট হল অব ওয়েস্টমিনিস্টার’-এর আদলে নির্মিত ‘দি গ্রেট হল’ প্রশংসিত দর্শনার্থী মহলে। এই হলের বিষয়ে অ্যান্থনি ট্রোলোপ লেখেন, এত সুন্দর অনুপাতে নির্মিত কোনো হল অক্সফোর্ড কিংবা ক্যামব্রিজেও নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার সুন্দর ভবন আর নিজস্ব উচ্চ মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে।

টরন্টো ইউনিভার্সিটি : ১৮২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসজুড়ে রয়েছে আকর্ষণীয় সব বিল্ডিং। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিল্ডিংই মূলত ‘রোমান’ আর ‘গথিক রিভাইভাল’ স্থাপত্যকলার মিশেলে তৈরি, যার আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে শীতকালে।

কেপটাউন ইউনিভার্সিটি : বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলো এই তালিকায় থাকা বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো অত বাহারি না হলেও পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে রাখা পর্বতের চূড়াগুলো একে করে তুলেছে নয়নাভিরাম। দক্ষিণ আফ্রিকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি মূলত একটি পর্বতশ্রেণির ঢালে অবস্থিত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads