২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি করা মোবাইল ফোনের বিদ্যমান সারচার্জ ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর ফলে মোবাইল ফোনের দাম বাড়বে। তবে মোবাইল ফোন তৈরির কাঁচামাল আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এর ফলে দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের দাম কমবে।
বর্তমানে মোবাইল ফোন আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক, ১৬.৫ শতাংশ ভ্যাট, ২ শতাংশ এআইটি এবং ১ শতাংশ সারচার্জ রয়েছে। সব মিলিয়ে করের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে দাঁড়াবে ৩০ দশমিক ৫ শতাংশে। এর ফলে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কিছুটা বাড়বে।
বর্তমানে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দেশেই মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা চালু করেছে। এ শিল্পকে উৎসাহিত করতে মোবাইল ফোন উৎপাদনের ৪৪ ধরনের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানো হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বর্তমানে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি, লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি, ইউএসবি ক্যাবল এবং ওটিজি ক্যাবল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে ৪০টি কাঁচামালের বিদ্যমান ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশে নামিয়ে আনারও প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশে সেলুলার ফোন উৎপাদন বা সংযোজনের জন্য আমদানিতে এ রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোনের চার্জার আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বিদেশ থেকে আমদানি করা ১০ ভোল্টের নিচে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ও ব্যাটারি চার্জার, দুই হাজার ভোল্ট পর্যন্ত ইউপিএস, আইপিএস এবং ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।