বিজয়ী দলে বাংলাদেশের সামীন আলম

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম

বিজয়ী দলে বাংলাদেশের সামীন আলম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ মে, ২০১৯

এশিয়া অঞ্চলে চাল সরবরাহে বৈষম্য দূর করার সমাধান দিয়ে ২০১৮-১৯ টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বিজয়ী হয়েছে অ্যাগ্রিম্যাচ। এটি একটি মোবাইল অ্যাপ, যা ভৌগোলিক অবস্থান ব্যবহার করে কৃষক ও মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। বিজয়ী হিসেবে অ্যাগ্রিম্যাচ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার সিডফান্ড জিতে নিয়েছে।

২৮ মে ব্যাংককে ডিট্যাকের প্রধান কার্যালয়ে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ২০১৮-১৯ কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটেছে। আটটি দেশের ১৬ তরুণ টেলিনর গ্রুপ ও ডিট্যাকের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সামনে ডিজিটাল সেবা নিয়ে তাদের ধারণা উপস্থাপন করেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিট্যাকের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্রা রাইখ, টেলিনর গ্রুপের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আনা কারিন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, ইউনিসেফ ও নোবেল পিস সেন্টারের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা।

গত ডিসেম্বরে নোবেল পিস প্রাইজ সপ্তাহে এ বছরের টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম শুরু হয়। যেখানে ১৬ জন প্রতিনিধি চারটি দলে বিভক্ত হয়ে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান নিয়ে প্রতিযোগিতা করেন। এখান থেকে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ধারণার উন্নয়ন শুরু করে পর্যায়ক্রমে সেবার প্রোটোটাইপ তৈরি এবং ব্যবহারকারীদের নিয়ে গবেষণা করেন, যা পরিশেষে তাদের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। ৫ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ২০-২৮ বছর বয়সী ১৬ জন বিজয়ী তরুণ ২০১৮-১৯ কার্যক্রমে তাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান।

অ্যাগ্রিম্যাচ দলে ছিলেন বাংলাদেশের সামীন আলম, মালয়েশিয়ার র্যাচেল লো, নরওয়ের এমিলি উনায়েস এবং ডেনমার্কের ইনগ্রিদ রাসমুসেন। এ দলের জন্য প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন টেলিনর রিসার্চের ভিপি আইয়েভা মার্টিনকেনাইট।

খাদ্য উৎপাদনে টেকসই সমাধান এবং সুযোগ বৃদ্ধিতে ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আসাই ছিল এ দলের চ্যালেঞ্জ, যা অসাম্য দূরীকরণে বিশেষ অবদান রাখবে। এ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক এবং মধ্যস্থতাকারী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে ও পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে পারবে। কাজের উন্নয়নে ছয় মাসের নিরলস প্রচেষ্টা এবং চারটি দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব করার মাধ্যমে দলটি টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের এ বছর বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছে। অ্যাগ্রিম্যাচের মোবাইল সেবা কৃষিপণ্য সাপ্লাই চেইনে ভারসাম্য আনতে এবং ঋণ ও দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে কৃষককে মুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান রাখবে। 

অ্যাগ্রিম্যাচ মিয়ানমারে তাদের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে। এর কারণ হলো খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এ বছরের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী মূল আয়ের জন্য দেশটির জনসংখ্যার ৭০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।

টেলিনর গ্রুপের ইভিপি এবং চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আনা কোয়াম বলেন, টেলিনরের বৈশ্বিক বিস্তৃতি, মান ও আমাদের দক্ষতা ব্যবহার করে অসাম্য দূরীকরণে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। প্রযুক্তি ও আমাদের কার্যক্রম থাকা সব দেশের তরুণদের একসঙ্গে করার মাধ্যমে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের মাধ্যমেও আমরা এটাই করতে চেয়েছি। অ্যাগ্রিম্যাচের সম্ভাবনায় আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে এবং আমাদের প্রত্যাশা তারা দ্রুতই এম-অ্যাগ্রি সল্যুশন নিয়ে আসবে।

বিচারকদের সামনে উপস্থাপিত অন্য তিনটি ধারণা হলো- মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা দূরীকরণে ডিজিটাল সমাধান, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের সুযোগ বৃদ্ধিতে ডিজিটাল পোর্টাল এবং তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আগের প্রজন্মের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফর্ম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads