বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছে পাকিস্তান

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছে পাকিস্তান

ড. মোমেনকে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের সহায়তা চায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে ফোন করে কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাখদুম শাহ মেহমুদ কুরেশি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাখদুম শাহ মেহমুদ কুরেশি ড. মোমেনকে টেলিফোন করেন। এ সময় তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের সহায়তা চান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তাও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে হওয়া ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ড. মোমেন-মেহমুদের ফোনালাপের বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতের অবৈধভাবে এবং একতরফা পদক্ষেপের বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফোনালাপে কাশ্মীরে মানবাধিকার ও মানবিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে মাখদুম শাহ মেহমুদ কুরেশি ড. এ কে মোমেনকে উল্লেখ করেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনার মধ্য দিয়ে বিরোধ নিরসনের কথা বলেছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, টেলিফোন আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন যে কোনো সংকট সমাধানে সংলাপ ও আলোচনাকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে জোর দেন। 

এর আগে এক বিবৃতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ মনে করে, ভারত সরকার কর্তৃক (সংবিধানের) ৩৭০ ধারা বিলোপ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ সর্বদা নীতিগত বিষয় হিসেবে সমর্থন জানিয়েছে- আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি উন্নয়নের বিষয়টিও সব দেশের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ভারত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads