কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে বন্ধুর বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের সীমান্তবর্তী নিখরহাটি গ্রামে বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরলো বন্ধু ইসমাইল (২৩) নামে এক যুবক। নিখোঁজের দুই দিন পর পুলিশ শনিবার বিকাল ৪টার সময় মুকসুদপুর উপজেলার বাহাড়া এলাকার কুমার নদ থেকে ভাসন্ত অবস্থায় ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ইসমাইল টেকনাফ সদর এলাকার বশির আহম্মেদের ছেলে ।
পুলিশ ও নিহত ইসমাইলের বন্ধু আজগর হোসেন ওরফে শাকিল জানায়, নিহত ইসমাইল কক জেলার টেকনাফ থেকে গত বুধবার তার বন্ধু মুকসুদপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নগরকান্দা উপজেলার চরযোসরদী ইউনিয়নের নিখরহাটি গ্রামের রজব আলীর ছেলে আজগর হোসেন ওরফে শাকিল এর বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে পার্শ্ববর্তী ভাংগা উপজেলায় দুই বন্ধু মিলে ইসলামী ব্যাংকের চেক বই আনতে যায়। পরে ভাংগা থেকে ফিরে এসে সন্ধ্যার দিকে দুই বন্ধু ইসমাইল ও শাকিল অপর বন্ধু শাকিলের চাচাতো ভাই সোহাগকে নৌকায় বহন করে কুমার নদ পার করে দিয়ে ফেরার সময় ইসমাইল নৌকা থেকে লাফ দিয়ে গোসল করতে থাকে। এসময় হঠাৎ ইসমাইল চিৎকার দিয়ে পানিতে ডুবে যায় । পরে ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুজির দুইদিন পর শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে মুকসুদপুরের বাহাড়া এলাকার কুমার নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ।
এলাকাবাসি জানায়, এরা মাদক ব্যবসায়ী ছিল । হয়তো মাদক কেনাবেচা কেন্দ্র করে এটা হত্যাকাণ্ড হতে পারে ।
চরযোসরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান পথিক জানান, ওরা মাদক ব্যবসায়ী আমি লোকমুখে শুনেছি ।
নিহত ইসমাইলের বন্ধু আজগর হোসেন ওরফে শাকিল মাদক বিক্রির কথা অস্বীকার করে জানায়, নৌকা থেকে লাফ দিয়ে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে ইসমাইল মারা যায় ।
মুকসুদপুর থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, কুমার নদ থেকে ইসমাইল নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছি । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে ।
