বগুড়ার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনার পানি ২ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপদ সীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ শুক্রবার দুপুরে তা আগের দিনের তুলনায় ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে বাঙালী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরো নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও বাঙালীর পানি আরো বৃদ্ধির আশংকা করছেন তারা। এদিকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বানের পানিতে থাকা বগুড়ার যমুনা তীরবর্তী সারিয়াকান্দী, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার বন্যার্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হলেও বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট রয়েছে। অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রান পৌঁছাচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। তবে উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানিয়েছে, তারা খবর পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় সবখানে ত্রান পৌঁছানোর চেস্টা করছেন। অনেক এলাকায় গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার পরিস্থিতির আর অবনতি হয়নি। এপর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার পরিবারের সোয়া লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া বীজতলা পাট, আউশ ও মরিচ সহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নদী ভাঙ্গনে গত এক সপ্তাহে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৮ শ’ বাড়িঘর। বন্যা কবলিত হয়েছে ৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।