ফুল চাষে বায়োডিগ্র্যাডেবলপট প্রযুক্তি

দেশে ভাইরাস মুক্ত ফুলের চারা উৎপাদনে নতুন প্রযুুক্তি যাত্রা শুরু

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

দেশে এই প্রথম

ফুল চাষে বায়োডিগ্র্যাডেবলপট প্রযুক্তি

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

দেশে ভাইরাস মুক্ত ফুলের চারা উৎপাদনে নতুন প্রযুুক্তি যাত্রা শুরু করেছে। যা আগামীর ফুল চাষিদের নিরাপদে ফুল চাষে আমোল পরির্বতন আনবে। এক সময় এ প্রযুক্তি শুধু ফুল চাষেই সীমাবদ্ধ না থেকে সকল সবজি চাষে আনতে পারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এমনি সুখবর দিয়ে দেশের স্বনামধন্য ফুলচাষি দেলোয়ার হোসেন। বায়োডিগ্র্যাডেবল প্লান্ট পট মেশিনে চারা উৎপাদন করছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌর শহরের কেওয়া পুর্ব খন্ড গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। এর আগে এ প্রযুক্তির পটগুলো বিদেশ থেকে উচ্চ মূল্যে আমদানি করতে হতো। যা ফুল চাষিদের মুনাফায় ঘাটতি চলে আসত। তবে সে দুর্দিন অচিরেই কাটছে ফুল চাষিদের।

আজ শুক্রবার মৌমিতা ফ্লাওয়ারস তাঁদের প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত করতে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকার ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে এক জাঁকজমক আয়োজনের মাধ্যমে।

ফুল চাষে সফলতা দেখিয়ে দেলোয়ার হোসেন জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন। ১৪২২ বাংলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার দেওয়া হয় দেলোয়ার হোসেনকে।

নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সেলিনা আক্তার জানান, বায়োডিগ্র্যাডেবল প্লান্ট পট মেশিনে উৎপাদিত ফুলের চারাগুলো হয় ভাইরাসমুক্ত। এর উৎপাদন অন্যান্য যে কোনো চারার তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। এ মেশিনে উৎপাদিত চারাগুলো প্রথমে বাংলাদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিপনন করা হবে। এটাকে বলা হচ্ছে পরীক্ষামুলক পর্যায়। এর পরেই বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরু করা হবে। এ ক্ষেত্রে জাপান,অস্ট্রেলিয়া,হল্যান্ড ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হবে প্রধান লক্ষ্য। এতে আমাদের উৎপাদন খবরচ হবে অনেক কম। তাই রপ্তানিতে সাফল্য আসবেই।

তিনি আরো জানান, তাঁদের এ প্রকল্পে ডাচ রোজ,জি-নাইন,কালার্ড ক্যাপসিকাম ও অর্নামেন্টাল প্ল্যান্ট উৎপাদন হচ্ছে। অন্যান্য রোজের (গোলাপ)সাথে তাঁদের উৎপাদিত ডাচ রোজের পার্থক্যগুলো হলো - জীবন কাল ১৫-২০ দিন হয়ে থাকে। ফলে বাজারজাত করনে খুচরা বিক্রেতারা লাভবান হয়ে থাকে। পলি হাউজে এ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত গোলাপের চারা থেকে আট থেকে দশ বছর একাধারে ফুল পাওয়া যায়। উপেন হাউজে (উন্মুক্ত) ৫-৭ বছর ফুল পাওয়া যায়।

অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এম এম আবদুর রাজ্জাক। বিষেশ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর গাজীপুরে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন। বারি’র মূখ্য বৈজ্ঞানীক কর্মকর্তা কবিতা আঞ্জুমান আরা, প্রধান বৈজ্ঞানীক কর্মকতা ফারজানা নাসরিন খান, শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএসএম মূয়ীদুল হাসান।

এ অনুষ্ঠানে বায়োডিগ্র্যাডেবল প্লান্ট প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য দেন আর্ন্তজাতিক স্ট্রবেরি বিশেষজ্ঞ ও এগ্রোনোমিস্ট ভারতীয় নাগরিক ভারতভোজানে। তিনি বলেন মৌমিতা ফ্লাওয়াস প্রকল্প এলাকায় পানিতে পিএইচ এর মাত্রা পাওয়া গেছে ৭.৫১। ফলে এ পানি চারা উৎপাদনের জন্য অধিক সহায়ক। এ সময় এ সাফল্য এ দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধ করবে নি:সন্দেহে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads