শহিদুজ্জামান চাঁদ, শালিখা (মাগুরা)
শালিখায় নির্বিচারে আবাদি জমি ও বিভিন্ন খাল বিল থেকে মাটি কাটার ধুম পড়েছে। যে যেখান থেকে পারছে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করছে। এতে জমির উর্বর শক্তি হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। এসব মাটি ইটভাটায় যাওয়ায় একদিকে জমির উর্বরতা হারাচ্ছে, অন্যদিকে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, বর্ষাকালে উন্মুক্ত ধানি জমিগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেলেও বছরজুড়ে সেখানে আমন ও ইরি, বোরো ধানের চাষ করা হয়। নিম্নাঞ্চলের জলরাশিতে পাওয়া যেত দেশি প্রজাতির নানা রকমের সুস্বাদু মাছ। এ জনপদের মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাছের লোভে নানা প্রজাতির পাখি এসে বিচরণ করতো এ উপজেলায়। ইটভাটার মালিকদের ফসলি জমি ও খাল বিল থেকে মাটি কাটার আগ্রাসী মনোভাবের কারণে পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দ্রুত ইটভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে ইটভাটার মালিকরা বলছেন, ফসলী জমি থেকে হোক আর পুকুর খনন করে হোক, যেখান থেকেই মাটি কাটা হোক, মাটি কিনছি টাকা দিয়ে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিঘণ্টায় মাটি আর বালুর প্রায় কয়েকশ গাড়ি চলাচলা করে। ফলে কিছু কিছু সময় যানজটও প্রবল হয়ে উঠে রাস্তাগুলো। ধুলোবালি এবং কর্দমাক্ত রাস্তার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতরা মাটি কেটে তাদের লাভের জন্য, কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে পুরো এলাকার সাধারণ মানুষ। ধুলোবালি ও কাদাই হয়ে গেছে এখানকার মানুষের নিত্যসঙ্গী। এবিষয়ে শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মো. বাতেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।