ঘূর্ণিঝড় ফণী ঢাকা, ফরিদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে এগুচ্ছে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর এটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিবে। বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারে। ফণীর প্রভাবে সারাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের উপর দিয়ে আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগের দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী,চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ফণী এখন বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের স্থলভাগে (চুয়াডাঙা, রাজবাড়ি, মানিকগঞ্জ, ঢাকা অঞ্চলে) অবস্থান করছে। এটি আরো ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক হয়ে ভারতের আসাম মেঘালয়ে প্রবেশ করবে। ফণীর গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।
রোববার (৫ মে) বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে অনুরোধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।