প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টিএমজিবি’র যাত্রা শুরু

ছবি সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টিএমজিবি’র যাত্রা শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১ জুন, ২০১৯

ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞাপনের হার বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে গণমাধ্যমগুলোতে। এসব মাধ্যমের প্রধান আয়ের উৎস বিজ্ঞাপন থেকে আয় আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে প্রতিষ্ঠানসহ এর সঙ্গে জড়িত শত শত কর্মীদের ওপর। এ অবস্থায় করণীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন : গণমাধ্যমের সঙ্কট ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা করেছে প্রযুক্তি সাংবাদিকদের নতুন সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি)।

২৯ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দেশের প্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকতার বিকাশ, উন্নয়ন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণে টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) নামের সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ টিআইএম নূরুল কবীর। টিএমজিবি আহ্বায়ক মুহম্মদ খানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, বিডিজবস ডটকম ও আজকের ডিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর, বেসিসের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম সানি, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, ড্যাফোডিল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান প্রমুখ।

আলোচনায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল যুগ ও এর রূপান্তর অনিবার্য। তাই ডিজিটাল রূপান্তর না ঠেকিয়ে এটিকে কীভাবে সামলানো যায় সেটি বের করতে হবে। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সামগ্রিকভাবে যেভাবে এগিয়ে গেছে, গণমাধ্যমগুলোকেও সেভাবে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রচলিত গণমাধ্যমের সঙ্গে ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বড় এবং সহজ পার্থক্যটি হলো, মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারে। ফেসবুক যখন কার্যক্রম শুরু করে, তখন অনেকে ভেবেছিল এটি বেশি দিন থাকবে না। মানুষ ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারে বলেই প্রতিষ্ঠানটি আজ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।

চীনের নিজস্ব সামাজিকমাধ্যম উইচ্যাটের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় স্থানীয় বিষয়বস্তু দিয়ে এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে, যা বাংলাভাষী মানুষের জন্য আকর্ষণ তৈরি করতে পারে।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশে বিজ্ঞাপন খাতে মোট বার্ষিক খরচ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে। তিনি বলেন, দেশি প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা এবং বিদেশি কোম্পানিতে বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

অ্যাটকোর সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যাতে দেশের বিজ্ঞাপনে সিংহভাগ না নিয়ে যেতে পারে তার জন্য টেলিভিশন বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত যে নীতিমালা আছে, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও তেমন নীতিমালা করতে হবে। দেশের হাজারো গণমাধ্যমে লাখ লাখ কর্মী রয়েছে। তাদের রক্ষার্থে সব মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।

অ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এসএম ফরহাদ বলেন, ইউটিউব, গুগল, ফেসবুকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের টাকা তো বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাই আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। ফলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিজ্ঞাপন দেশের বাইরে আর যাবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads