প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আকরামের স্বপ্ন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আকরামের স্বপ্ন

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ, ২০১৯

কেউ হুইল চেয়ারে , কেউ মায়ের কোলে আবার কেউ বোনের ওপর ভর করে হাজির হয়েছে এক দিনেই এক প্রাণের উৎসবে। এক দিনের জন্য তারাও ভুলে গেল তারা অক্ষম প্রতিবন্ধী। আজ গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের সাহেব বাড়ি রির্সোটে তিন শতাধিক হতদরিদ্র প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় সুখের এক দিন। তাদের এক দিনের জন্য সুখী করতে তাদের সমবেত করা হয়। বিশ্ব সুখ দিবসে এ আয়োজন স্থানীদের প্রতিবন্ধীদের আরো বেশি ভালোবাসার জায়গা তৈরি করবে এমন আশা প্রকাশ করেন আয়োজকেরা। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় বিভিন্ন খেলাধুলা উন্নত খাবারের। এ সময় তাদের স্বজনরাও সাথে ছিলেন। এ সময় প্রতিবন্ধিরা খুশিতে মেতে উঠে বিভিন্ন খেলায়।

তারা বলে 'ঈদ আইলে আমরা গোস্ত খাই, এ ছাড়া আর ভালো-মন্দ খাইতে পাইনা আমরা’- আজকে আমাদের এখানে ডেকে একটি সুখের দিন উপহার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনহৈতষী আকরাম হোসেন এ ব্যতিক্রম আয়োজন করেন।

রির্সোটে গিয়ে দেখা যায় বিলাসবহুল সাহেব বাড়ি রিসোর্টের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক সম্মেলন কক্ষে শ’তিনেক দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তাদের আত্ম উন্নয়নে আলোচনা চলছিল। সেখানে উপস্থিত প্রতিবন্ধীরা জানাচ্ছিলেন তাদের সমস্যার কথা। পরে সম্মেলন কক্ষের পাশে সামিয়ানার নিচে বিশাল মেহমানদারি করা হয় তাদের জন্য। তাদের জন্য উন্নত খাবারের আয়োজন করা হয়। খাবার মেন্যুতে ছিল, পোলাও, মুরগী, গরুর গোস্তসহ নানা সুস্বাদু খাবার। এর আগে সকালে বাহারি নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন কার হয় তাদের। এক সাথে সবাই মিলে দুপুরের খাওয়া সেরে রিসোর্টের সুইমিং পুলসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় , আনন্দ করে।

প্রতিবন্ধীরা বলেন ‘আমগর লাইগা এমন খাওন অনেক কিছু। সমাজের কেউ তো আমগরে দামই দেয় না, কিন্ত আজকা এক লোক গাড়ি দিয়া নিয়া আসছে, আবার দিয়াও আইবো শুনছি’।

উদ্যোক্তা আকরাম হোসেন বাদশা বলেন প্রতিবন্ধী মানে প্রতিভাবন্ধী না। তাদের মাঝেও রয়েছে সমাজকে দেওয়ার মতো জ্ঞান, মেধা। তাদের পাশে থাকলে তারাও ব্যতিক্রম কিছু করে সমাজে তাক লাগিয়ে দিতে পারবে। তিনি বলেন বিত্তবানরা এগিয়ে এসে তাদের পাশে দাড়ালে অনেক কিছু পাওয়া সম্বব তাদের কাছ থেকে।

তিনি বলেন এ রকম একটি আয়োজন করে তাদের নিয়ে একটি অসাধারণ দিন কাটালাম। তাদের মুখে যে অনাবিল হাসি দেখেছি তা এ দিনে তাদের না পেয়ে দেখতে পেতাম না। এই আয়োজন সমাজের সক্ষম মানুষকে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহমর্মী হতে সহযোগিতা করবে বলে তার বিশ্বাস। দির্ঘদিন ধরে তিনি তার আয়ের একটি বড় অংশ প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্রদের জন্য ব্যয় করে আসছেন। হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী পরিবারগুলোর কষ্ট তিনি বুঝেন, তাই তাদের নিয়ে কিছু করতে চান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads