প্রকল্পের এক পয়সাও নষ্ট হতে দেব না: কুবি উপাচার্য

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা

প্রকল্পের এক পয়সাও নষ্ট হতে দেব না: কুবি উপাচার্য

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) জন্য বরাদ্দ পাওয়া এই ১৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার সবটাই দেশের আপামর জনগণের টাকা উল্লেখ করে উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেছেন, এই টাকা গরিবের রক্তের টাকা, এর এক পয়সাও আমি নষ্ট হতে দেবো না। আমি যদি মনে করি এর বাস্তবায়ন আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না তবে আমি সে টাকা সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেবো। কেউ কোনো ধরনের অসৎ উদ্দেশ্যে আমার কাছে আসবেন না।'

গত মঙ্গলবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের পর আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, কোনও ধরণের শর্ত ছাড়াই প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে বর্তমান ক্যাম্পাসকে অপরিবর্তিত রেখেই ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সুবিধামতো ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করা হবে। বর্তমান ক্যাম্পাস আমাদের মা। এটিকে স্থানান্তরের কোনও প্রশ্ন বা সম্ভাবনাই নেই।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে এই প্রকল্পের কোনো বিকল্প ছিলো না উল্লেখ করে উপাচার্য জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হবে দেশের একটি অত্যাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়। অপরিকল্পিতভাবে ছাত্র-ছাত্রী আর বিভাগের সংখ্যা না বাড়িয়ে বর্তমান আসনসংখ্যা সীমিত রেখেই  তাদের যোগ্য গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য  প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই এই প্রকল্পে বিন্যস্ত করা আছে।

মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো.আবু তাহের (চলতি দায়িত্ব) বলেন, 'আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে সব ধরণের চিন্তা মাথায় রেখেই প্রকল্পটি সাজিয়েছি। প্রকল্পে ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংযুক্ত উপযুক্ত স্থানই নির্বাচন করা হয়েছে। ক্যাম্পাস যদি স্থানান্তরের প্রশ্ন আসে তাহলে সবার আগে আমিই তার বিরোধিতা করবো।

সভায় শুরুতেই সদ্য একনেকে পাশ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগা প্রকল্পের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরা হয়।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি, শিক্ষক সমিতির নেতারা, শাখা ছাত্রলীগ নেতা, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের নেতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads