সম্প্রতি কেপি শর্মা অলি সরকার তিন ভারতীয় ভূখণ্ডকে নেপালের অন্তর্ভুক্ত করে নিজেদের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে। এবার নেপালের পথ অনুসরণ করে ইমরান খান সরকার পুরো কাশ্মীরকে পাকিস্তানের মানচিকত্রে অন্তুর্ভুক্ত করেছে।
শুধু পুরো কাশ্মীরই নয় গুজরাটের জুনাগড়কেও নতুন মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করেছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নয়া মানচিত্রের অনুমোদন শেষে ইমরান খান বলেন, 'আজই আমরা পাকিস্তানের নতুন ম্যাপ বিশ্বের সামনে আনছি। পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা ছাড়াও বিরোধী দল এমনকী কাশ্মীরি নেতৃত্বেরও এতে সমর্থন রয়েছে। নয়া মানচিত্র পাকিস্তানের মানুষের আশা ও বিশ্বাসকে সমর্থন করে।'
ইমরান খান এ সময় জানান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার অধীনেই কেবল কাশ্মীর নিয়ে বিরোধের অবসান হতে পারে। জাতিসংঘ প্রস্তাবনায় কাশ্মীরি জনতাকে তারা কোন রাষ্ট্রে যোগ দিতে চায় সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তিনি কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন।
ইমরান খান বলেন, ‘কাশ্মীরের জনতাকে দেওয়া বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি। আমরা স্পষ্ট করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলতে চাই যে এটিই (কাশ্মীরি জনতা কোন রাষ্ট্রে যোগ দিতে চায় সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা) একমাত্র সমাধান। সরকার এই বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
নতুন মানচিত্র উন্মোচন করার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আর বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে আমাদের এই লড়াই করব। কেননা আমরা সামরিক সমাধানে বিশ্বাস করি না। আমরা জাতিসংঘকে বারবার মনে করিয়ে দেব যে আপনারা (কাশ্মীরের জনগণের কাছে) যে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন তা এখনও পূরণ করেননি।’
ইমরান খান সরকার ও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, নয়া মানচিত্রে কাশ্মীর এবং তার জনগণের উপর ভারতের 'অবৈধ দাবি'কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
কুরেশির কথায়, 'এই মানচিত্র নিয়ে পাকিস্তান সরকার এতদিন বন্ধ দরজার পিছনে কথা বলেছে। আজ, আমাদের সরকার সেই মানচিত্র গোটা বিশ্বের সামনে প্রকাশ করেছে। পাকিস্তান কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, তা দেখিয়েছে।'





