পদ্মা নদীতে বরযাত্রীবাহী দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কনেসহ এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৬ জন।
রাজশাহীর পদ্মায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে ৩ জনের মরদেহ। উদ্ধারকৃতরা হলেন হলেন- এখলাস হোসেন, রতন আলী ও মনি বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, এখলাস পবা উপজেলার কাঠালবাড়িয়া এলাকার আসলাম আলীর ছেলে। পেশায় কাঠমিস্ত্রী ছিলেন এখলাস। রতন নগরীর রাজপাতা এলাকার মতুরা এলাকার বাসিন্দা। নিহত মনি বেগম নগরীর কর্নহার থানার ডাইংয়েরহাট এলাকার শামিম হোসেনের স্ত্রী। তিনি কনে সুইটি খাতুনের চাচি।
নৌকাডুবির পর শুক্রবার রাতে তার ৬ বছর বয়সী মরিয়মের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এখনও নিখোঁজ মনি বেগমের স্বামী শামীম ও মেয়ে রশ্মি, কনে সুইটি, কনের দুলাভাই রতন, কনের খালা আঁখি, কনের ফুপাতো বোনের মেয়ে রুবাইয়া।
নৌকাডুবিতে জীবিত উদ্ধাররা হলেন- বর আসাদুজ্জামান ওরফে রুমন আলী (২৬), কনের বোন বৃষ্টি খাতুন (২২), নৌকার মাঝি খাদিমুল ইসলাম (২৮), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬)। দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
এদিকে নৌকাডুবির ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য এরই মধ্যে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলামকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলে।
শুক্রবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর শ্রীরামপুর ডিসির বাংলো এলাকায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটার পর থেকেই নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপপরিচালক আবদুর রশীদ জানান, নৌ পুলিশ, মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা রাজশাহীর শ্রীরামপুর এলাকা থেকে শুরু করে পদ্মাপাড় ঘেঁষে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে থাকা চারঘাট উপজেলা পর্যন্ত নিখোঁজদের খোঁজে টহল দিচ্ছেন।