জেলার জাজিরা উপজেলায় পদ্মানদীর ভাঙনে বড়কান্দি ও পালেরচর ইউনিয়নে প্রায় দুইশত পরিবার বাড়ি-ঘরসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। তারা বাপ-দাদার ভিটেমাটি ফেলে কোথাও দূরবর্তী জায়গায় উঁচু জমিতে ঘর বানিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, জুলাই মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পদ্মানদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি, খলিফা কান্দি ও দুর্গারহাট গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের ঘর বাড়ি ফসলি জমি, মসজিদ, মাদরাসাসহ দুই শতাধিক পরিবার পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এখন বিকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও দুর্গারহাট বাজার হুমকির মুখে রয়েছে। পদ্মার ভাঙনের শো শো শব্দে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় এলাকাবাসীর। সর্বদা আতঙ্কে থাকে ওই এলাকার মানুষ। এদিকে পালেরচর ইউনিয়নের কাথুরিয়া মোহন ফকির কান্দি, ফরাজি কান্দি, দেওয়ান কান্দি, হুকুম আলী সরদার কান্দি, রাঢ়ি কান্দি এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানেও অর্ধশত বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি।
পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুলহাস বলেন, পালেরচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শত শত পরিবার ঘরবাড়ি পদ্মানদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আরো শত পরিবার। জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে ওসব এলাকা।
বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষার শুরুতে বড়কান্দি ইউনিয়নে পদ্মায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। মানুষ বাড়িঘর সরিয়ে নিতেও সময় পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি পদ্মা গ্রাস করে নিয়ে গেছে। মানুষের মাথাগোঁজার ঠাঁই নেই। আমি পরিষদের পক্ষ থেকে দুইশত পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি করে জিআর চাল বিতরণ করেছি। এছাড়াও আমার সাধ্যমতো তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি।