ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মার ডান তীররক্ষা বাঁধের তিনটি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর, পৌরসভার শুভগ্রাম ও চণ্ডীপুর এলাকায় হঠাৎ করেই স্লোব থেকে মাটি সরে গিয়ে প্রায় একশ ৩০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে করে বাঁধের আশেপাশে থাকা রাস্তাঘাট, স্থাপনা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। খবর পেয়ে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁদ পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহম্মদ আলী জানান, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর তীরে ১৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার বাঁধটি তৈরি করা হয়। এরপর গত বছর আর পদ্মা নদীতে ভাঙেনি। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মার ডান তীররক্ষা বাঁধের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ৫০ মিটার, পৌরসভার শুভগ্রাম ৩০ মিটার ও চণ্ডীপুর ৫০ মিটার এলাকার স্লোবের মাটি সরে গিয়ে বাঁধের প্রায় ১৩০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে বাঁধের আশেপাশে থাকা রাস্তঘাট, স্থাপনা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও নড়িয়া উপজেলা শহর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। খবর পেয়ে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেখানে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, খবর পেয়ে আমরা সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় ভাঙন রোধ করে দিয়েছি।