নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলায় হেঞ্জু মাঝি (৩২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার এজাহারভুক্ত ও ঘটনায় জড়িত থাকায় এ নিয়ে মোট ১১জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৬জন এজাহার ভূক্ত আসামী বাকী ৫জনের নাম পুলিশ তদন্তে উঠে আসে। পলাতক ও ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের।
আজ শুক্রবার ভোরের দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত হেঞ্জু মাঝি মধ্য বাগ্যা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলায় পুলিশের তদন্ত, ভুক্তভোগী ও গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দিতে হেঞ্জু মাঝির নাম উঠে আসে। ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হেঞ্জুকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ডিসেম্বর গভীর রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে স্বামী সিএনজি-চালিত অটোরিকশার ড্রাইভারকে মারধর ও তার সন্তানদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে রেখে ঘরের বাইরে নিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে। ওই নারীর স্বামী ও সন্তানের কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করেন। পরে এই ঘটনায় ঐ নারীর স্বামী বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে ৬জন স্বীকারউক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।