সারা দেশে চলমান কর্মবিরতির সময় রাস্তায় চলা ব্যক্তিগত যানবাহন চালকদের হয়রানিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামিয়ে চালকদের কান ধরে উঠবস করায় আন্দোলনকারীরা। কোথাও কোথাও এসব ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ময়লা-আবর্জনাও। গত রোববার কর্মবিরতির প্রথম দিন বিভিন্ন স্থানে সাধারণ চালক ও যাত্রীদের মুখে পোড়া মবিল লাগিয়ে হয়রানি করে পরিবহন শ্রমিকরা।
গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়ায় বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত যানবাহন চালকদের কান ধরে উঠবস করানো হয়। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন গাড়ির চালকদের গাড়ি থেকে নামিয়ে উঠবস করায়। তবে আন্দোলন ডাকা সংগঠনের নেতারা বলছেন, দুষ্কৃতকারীরাই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায় তারাই এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল সোমবার।
হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘আমরা পুলিশ কমিশনারকে বলে দিয়েছি এমন আপত্তিকর ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে পুলিশ যেন তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়। আইনগত ব্যবস্থা নিক। গত রোববার যারা যাত্রী ও সাধারণ চালকদের মুখে পোড়া মবিল মাখিয়েছে তাদের দুইজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এর আগে যারা পণ্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছিল তারাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারাই এমন ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের কর্মবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়।’
ওসমান আলীর অভিযোগ অস্বীকার করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকন। তিনি বলেন, ‘যাত্রী, চালক ও শিক্ষার্থীদের মুখে পোড়া মবিল তারাই লাগিয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রদের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছে তাদের গায়ে মবিল লাগিয়ে। এরা শ্রমিকদের দুর্বৃত্ত বানায়। তারা প্রকৃতপক্ষে দুর্বৃত্ত।’