নিজের মনোবল ধরে রাখাই প্রধান কাজ

মো. আবদুর রহমান মিলন

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

নিজের মনোবল ধরে রাখাই প্রধান কাজ

  • প্রকাশিত ১৫ জুলাই, ২০১৮

মো. আবদুর রহমান মিলন

প্রথম বর্ষ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং

মেধাতালিকায় স্থান : ১৩

 

ভর্তি পরীক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা, আশা করছি লেখাপড়া নিয়ে অনেক ব্যস্ত একটি সময় পার করছ। কারণ এ সময়টা অনেক বড় একটি মঞ্চে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের সময়। তাই এ সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময় আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হতাশার জন্ম দেয়, যা বাধা হয়ে দাঁড়ায় সফলতার পথে।

আমার এই সময়টার কিছু অভিজ্ঞতার কথা তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আমি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তারপরও পরীক্ষার অবস্থাটা উপলব্ধি করার জন্য এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা দিই এবং সেখানে ৫ অঙ্কের একটা পজিশন আসে। অবশ্য তাতে খুব বেশি হতাশ না হলেও হতাশ হয়েছি পরপর ঢাবি ও বুয়েট পরীক্ষা দিতে গিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় যখন সহজ প্রশ্ন পেয়েও প্রত্যাশিত উত্তর দিতে পারলাম না, তখন আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি সৃষ্টি হয়, যা বুয়েট পরীক্ষাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।

এ সময় নিজের মনোবল ধরে রাখাই প্রধান কাজ। কোনো কিছুতেই হতাশ হওয়া যাবে না। যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেই প্রস্তুতিটুকুই ঝালিয়ে নিতে হবে। এ সময় মনে হয়, এত দিন যা পড়েছি সব ভুলে যাচ্ছি। বিশেষ করে রসায়ন। এ বিষয়টিতে অনেক বিক্রিয়া ও সঙ্কেত আছে, যা সহজে স্মৃতিতে থাকতে চায় না। তাই আমি বলব, এ বিষয়ের বিক্রিয়া ও সঙ্কেতগুলো বারবার পড়। বেশি বেশি চর্চা কর পদার্থবিজ্ঞান আর গণিত। কারণ, এ দুটি বিষয়ের সূত্রগুলো মনে রাখা খুব জরুরি।

যা হোক, ঢাবির ফলাফলের পর যখন জানতে পারলাম পজিশন ভালো না হলেও ভার্সিটিতে প্রবেশ করতে পারব, তখন যেন পায়ের নিচে মাটি ফিরে এলো। এবার সামনে লাফ দেওয়ার পালা। কুয়েটে পরীক্ষা দিয়ে পজিশন এলো ১১২১। আত্মবিশ্বাস আরেকটু বেড়ে গেল। এরই ধারাবাহিকতায় চুয়েটে দুশ্চিন্তামুক্ত পরীক্ষা দিয়ে একলাফে ১৩তম পজিশন দখল করতে সমর্থ হই। পরিশেষে বলতে চাই, হতাশ না হয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সাধনা করলে সফলতা আসবেই, ইনশাল্লাহ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads