করোনাভাইরাসের রেকর্ড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড, হংকং ও সিঙ্গাপুরে। এরমধ্যে সিঙ্গাপুরে শুক্রবার শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজারেরও বেশি কেস। এই সংখ্যা বৃহস্পতিবার শনাক্ত হওয়া কেসের তিনগুনের সমান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে কোভিড সংক্রমণ। সর্বশেষ ২৮ দিনে সেখানে শনাক্ত হয়েছে ৮৫ হাজারের বেশি কেস। যদিও এরমধ্যে ৯৯.৭ শতাংশ রোগীরই গুরুতর উপসর্গ দেখা যায়নি। সিঙ্গাপুরের ৮৯ শতাংশ নাগরিকই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ৫৯ শতাংশ গ্রহণ করেছেন বুস্টার ডোজও।
অপরদিকে হংকংয়ে শনিবার ৩৫১ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর এটিই সেখানে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। ‘জিরো কোভিড’ কৌশল বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ। তবে চীনা নববর্ষের ছুটি চলায় দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। এ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোফিয়া চান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই সময়ে সবাই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সামাজিক মেলামেশাও বৃদ্ধি পায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি নাগরিকদের বাড়ির মধ্যে অবস্থান করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আপনারা সবাই বাড়িতে থাকুন। আর যারা বয়স্ক আছেন তারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন। হংকংয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২১৩ জন।
এদিকে নিউজিল্যান্ডে শনিবার ২৪৩ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ। তবে এ নিয়ে নাগরিকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহবান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ৫০ লাখ মানুষের দেশটি ২০২০ সালের প্রথম অংশ থেকেই সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে। কোভিড মোকাবেলায় বিশ্বের সবথেকে সফল দেশগুলোর একটি নিউজিল্যান্ড। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেন সম্প্রতি ধাপে ধাপে সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৭ হাজার জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩ জন।