নারী দিবসে তারকাদের ভাবনা

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

নারী দিবসে তারকাদের ভাবনা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ মার্চ, ২০২০

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। এটি বিশ্বের প্রতিটি নারীর জন্য একটি বিশেষ দিন হিসেবে মনে করা হয়। শোবিজের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকার নারী দিবসের ভাবনা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই আয়োজন

 

ফেরদৌসী মজুমদার

নারী পরিচয় আমার গর্ব। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশ্বের সব নারীর মঙ্গল কামনা করছি। আমি মনে করি, নারী ও পুরুষ আলাদা সত্তা নয়, সবাই মানুষ। তারপরও একজন নারীর জীবনে প্রতিবন্ধকতার সীমা নেই। সামাজিক অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজের অধিকার থেকে এখনো বঞ্চিত। এ অবস্থা থেকে নারীকে নিজ চেষ্টায় সব বাধা অতিক্রম করে সাফল্য অর্জন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি দিনই সংগ্রামের। তাই নারী দিবস উদযাপনের পাশাপাশি নারীর এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম যেন অব্যাহত থাকে, এ কামনা করি।

 

বিজরী বরকতউল্লাহ

নারী দিবস আসলে বছরের এক দিন হয়, প্রতিদিনই হওয়া উচিত। আর এই প্রত্যেকটি দিনকে স্মরণ রাখতেই আসলে বছরের একটি দিন পালিত হয় নারী দিবস। প্রত্যেক দিনই নারীকে সচেতন হতে হবে, দেখতে হবে সে তার নিজের অধিকারগুলো ঠিকমতো পাচ্ছে কি না। আর এই চর্চাটা শুরু হবে একেবারে ঘর থেকে। সম্মান করতে হবে মা, বোন, ভাবি, শাশুড়িসহ ঘরের সব নারী সদস্যকে। তখনই নারী দিবসের আসল তাৎপর্য আসবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া নারী দিবসে বিশেষ কোনো রঙের পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানো এবং উপহার আদান-প্রদানের জন্যও নয়, এটি নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার দিন বলেই মনে করেন করি।

 

মেহরীন মাহমুদ

নারীর অধিকার নিয়ে কি এই একটি দিনই চিন্তা করব? বছরের এই একটি দিন শুধু নারীদের সম্মান জানানো হবে আর বাকি দিনগুলোতে তারা অবহেলিত থাকবে; এমন হলে এই দিবসের কোনো প্রয়োজন নেই। অনেক ক্ষেত্রেই নারী অধিকার এখন ইতিবাচক হয়ে এসেছে। এসব ভাবনা অনেকটা এগিয়ে গেলেও এখনো আমাদের সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। 

 

তমালিকা কর্মকার

নারী স্বাধীনতা এখন আগের চেয়ে বেশি। এখন নারীরা নানা ধরনের কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো অনেক কিছুই নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। যেমন মেয়েরা এখনো রাত করে ঘরে ফিরলে বাবা-মা বকা দেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে এতটা দেখা যায় না। তবে সবশেষে বলতে চাই ছেলেমেয়ে সবাই যে যার দিন থেকে স্পেশাল। তাই লোক দেখানো দিবস না হয়ে এটা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা উচিত।

 

রোকেয়া প্রাচী

একজন নারীর জয় মানেই একজন পুরুষের জয়। আবার একজন নারীর পরাজয়ও একজন পুরুষের পরাজয়। আজকের দিনে আমি বলতে চাই, নারীদের নিজ থেকে জাগ্রত হতে হবে। নারীর জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার ইচ্ছের মাধ্যমে। সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে নারীরা প্রত্যেক মাধ্যমে আরো বেশি ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি। একই সঙ্গে পুরুষরাও নারীদের দিকে সহযোগিতা ও ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে আমার প্রত্যাশা।

 

বিপাশা হায়াত

আসলে বছরের প্রত্যেকটি দিনই নারীর জন্য। একদিন নারী দিবস উদ্‌যাপন করে পার করলাম, বিষয়টা তা নয়। যারা নারীদের নিয়ে কাজ করছেন, তারা যেন সারা বছর তাদের কাজটা অব্যাহত রাখেন। প্রত্যেকেই নিজের অবস্থান থেকে যদি সচেষ্ট থাকেন এবং নিজের কাজ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নটা কতটুকু বুঝিয়ে দেন, তাহলেই নারী দিবসের সার্থকতা। 

 

জয়া আহসান

আজ এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তার সম্পর্কে কথা বলতে চাই, যার জন্য আমি আজ এখানে আছি। সেই বিশেষ মানুষটি আমার মা। তার দ্বারা প্রদর্শিত পথই আজ আমার স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে। আমার নারী জনম আলোকিত করে দিয়েছে। এই বিশেষ দিনে, আমার জীবনে মায়ের অবদানের কথা বর্ণনা করতে আমার কাছে যথেষ্ট শব্দ  নেই। সবকিছুর জন্য তোমায় ধন্যবাদ মা।

 

কনা

একজন নারী সংগীতশিল্পী হিসেবে যদি বলি, মিডিয়ায় পুরুষ সংগীতশিল্পীরা যেমন কাজ করছে, নারীরাও তেমনি। নারী হিসেবে আমি কখনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হইনি। তবে আমার মনে হয়, একটা জায়গায় আমাদের নারীরা পিছিয়ে, সেটা হলো নিরাপত্তা। আমরা যখন রাস্তাঘাটে চলি, তখন একটু নিরাপত্তাহীন মনে হয়।

 

নুসরাত ইমরোজ তিশা

নারীর অধিকার নিয়ে কি এই একটি দিনই চিন্তা করব? বছরের এই একটি দিন শুধু নারীদের সম্মান জানানো হবে আর বাকি দিনগুলোতে তারা অবহেলিত থাকবে, এমন হলে এই দিবসের কোনো প্রয়োজন নেই। অনেক ক্ষেত্রেই নারী অধিকার এখন ইতিবাচক হয়ে এসেছে। এসব ভাবনা অনেকটা এগিয়ে গেলেও এখনো আমাদের সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এটা ঠিক যে অধিকার কেউ কাউকে দেয় না। তবে অধিকার আদায় করার জন্য সামাজিকভাবে একটা সুস্থ চিত্র দাঁড় করানো দরকার। আমার মনে হয়, এ কারণেই নারী দিবস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

 

মেহজাবিন

প্রতিটি ছেলের জীবনে এক বা একাধিক নারী থাকে। সেটা হতে পারে মা, বোন, স্ত্রী। তাই প্রতিটি পুরুষের জীবনে নারীর অবদান অনেক। আর সমাজে বাস করতে হলে নারী-পুরুষ একসঙ্গে চলতে পারলে সবদিক দিয়ে উন্নতি করা সম্ভব। এখন মিডিয়াতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দিব্যি কাজ করে যাচ্ছে। তারাও এই অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করছে।

 

বিদ্যা সিনহা মিম

একদিন নয়, প্রতিটি দিনই নারীর। প্রত্যেক দিনই নারীকে সচেতন হতে হয়, দেখতে হয় তার অধিকারগুলো ঠিকমতো পাচ্ছে কি না। আর এ চর্চাটা শুরু হওয়া উচিত ঘর থেকে। সম্মান করতে হবে মা, বোন, ভাবি, শাশুড়িসহ ঘরের সব নারী সদস্যকে। তখনই নারী দিবসের আসল তাৎপর্য আসবে বলে আমি মনে করি।

 

বুবলী

শুধু একদিন নারীদের মর্যাদা না দেখিয়ে সারা বছর দেখানো উচিত। তাহলে সেটা হবে নারীর প্রতি আসল অধিকার প্রদর্শন। আমাদের দেশের নারীরা আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। আর যারা অবহেলার শিকার হচ্ছেন তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে দূরে আছেন বলেই মনে করি। তাই সব নারীর এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads