নথি পেলে খালেদার মুক্তির বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি। শর্ত সাপেক্ষে সরকার খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিচ্ছে আইনমন্ত্রীর দেয়া এমন তথ্যের পরই এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘উনি (আইনমন্ত্রী) যা বলেছেন ঠিক আছে। কিন্তু আপনাদের আর একটু অপেক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিগন্যাল নিয়ে প্রক্রিয়া করতে হবে। উনার ফাইল এখনও অ্যাপ্রুভ হয়নি। আইনমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বলেছেন। তবে আইনমন্ত্রীর ফাইল এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। না আসা পর্যন্ত তো ওয়েট করতে হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার মুক্তির সুপারিশের ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এলে একটি সারাংশ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী ওই ফাইলে অনুমোদন দিলে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ পাঠানো হবে।
এর আগে গুলশানের নিজ বাসভবনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিদেশে গমন না করার শর্তে প্রধানমন্ত্রীর আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে গিয়েও তিনি চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে তাকে ঢাকার নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে মুক্তি দিলেই এ আদেশ কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন।





