ধানের শীষ থেকে প্রার্থী হলেন জামায়াতের যে ২২ নেতা

ধানের শীষ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ

রাজনীতি

ধানের শীষ থেকে প্রার্থী হলেন জামায়াতের যে ২২ নেতা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

দাঁড়িপাল্লা হারালেও পেয়েছে ধানের শীষ। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিবন্ধনহীন জামায়াতের ২২ প্রার্থীর হাতে নিজের প্রতীক তুলে দিয়েছে বিএনপি। গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশনের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে দলটি।    

২০ দলীয় জোট সূত্রের খবর, জোট রাজনীতির পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে বিএনপির কাছে প্রথমে ৭০ পরে ৬০ এবং সর্বশেষ ২৬টি আসন দাবি করে জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক এবং ২০ দলীয় জোটের শরিকদের দাবি পূরণ করার পর জামায়াতের জন্য ২০টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়। গত শনিবার এ সিদ্ধান্ত জানানো পর নাখোশ হয় যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দলটি। তারা নির্বাচন থেকে সরে আসার হুমকিও দেয়। রাতভর দরকষাকষি শেষে গতকাল রোববার সকালে আরো দুটি বাড়িয়ে ২২টি আসন চূড়ান্ত হয়। তারপরও জামায়াতের দাবি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনটি। একমত হতে না পারায় আসনটি উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম বুলবুল। একই আসনে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ।

জামায়াত-বিএনপির মধ্যে একগুচ্ছ শর্তও আদান-প্রদান হয়। জামায়াতের শর্ত ছিল, যে ২২ আসনে তারা নির্বাচন করবে সেখানে জোটের কিংবা বিএনপির কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না। বিএনপি ওই শর্ত মেনে নিয়েছে বলে দাবি জামায়াতের। তবে জামায়াতকেও তাদের সব স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। তাতে জামায়াত রাজি হয়ে ৪৭ আসনের মধ্যে একটি বাদে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ওই একটি আসনে বিএনপি-জামায়াত উন্মুক্ত নির্বাচন করবে।

জামায়াতের একজন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দীর্ঘ ১০ বছরে সরকার তাদের সঙ্গে যে রূঢ় আচরণ করেছে, নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল করেছে, শীর্ষ ৫ নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে, অসংখ্য নেতাকর্মীকে ‘হত্যা’ করেছে, হাজার হাজার মামলা দিয়েছে- এর সবই জোটভিত্তিক রাজনীতির কারণে। জোটের সঙ্গে না থাকলে এ পরিস্থিতি নাও হতে পারত। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর জন্য ২২ আসনে নির্বাচন করা অনেক কষ্টের। গত ১০ বছরে দলকে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। এরপরও বৃহত্তর স্বার্থে বরাবর ছাড় দেওয়ার রাজনীতি করে আসছে জামায়াত।

যে ২২ আসনে লড়বে জামায়াত : মাওলানা আবদুুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২), মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ (দিনাজপুর-১), মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬), মনিরুজ্জামান মন্টু (নীলফামারী-২), মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম (নীলফামারী-৩),  অধ্যাপক গোলাম রব্বানী (রংপুর-৫), মাজেদুর রহমান সরকার (গাইবান্ধা-১), মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৪), মাওলানা ইকবাল হুসাইন (পাবনা-৫), অধ্যাপক মতিয়ার রহমান (ঝিনাইদহ-৩), আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন (যশোর-২), অ্যাডভোকেট আবদুুল ওয়াদুদ (বাগেরহাট-৩),  অধ্যাপক আবদুুল আলীম (বাগেরহাট-৪), অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (খুলনা-৬), মুহাদ্দিস আবদুুল খালেক (সাতক্ষীরা-২), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), শামীম সাঈদী (পিরোজপুর-১),  ডা. শফিকুর রহমান (ঢাকা-১৫), ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (কুমিল্লা-১১), আ ন ম শামসুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৫) ও হামিদুর রহমান আজাদ (কক্সবাজার-২)।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads