রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বরাদ্দ পাওয়া অ্যাপার্টমেন্ট মালিকেরা। তারা দ্রুত প্রকল্পটি বসবাস উপযোগী করার দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করছে তারা।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. হামিদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে এমন দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে মো. হামিদুর রহমান বলেন, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে সিডিউল মোতাবেক কাজের মান যাচাইয়ের পর যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। একই সঙ্গে বরাদ্ধপ্রাপ্তদের ১৫ তলা সুউচ্চ ভবনে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস ও জানমালের নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অনিয়মের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি বিষয়ে “জিরো টলারেন্স” নীতির বাস্তবায়ন ঘটিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের, রাজউকের এবং সর্বোপরি সরকার নিজের জন্য এক অন্যন্য ভাবমূর্তি গড়ে তুলবেন এমন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারের উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে এটি। দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ, ঢাকা শহরে যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নির্মাণের কোনো সামর্থ্য নেই তাদের কথা বিবেচনা করে এ আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কাজ সেভাবে এগুচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে বেশি কিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- চতুর্থ কিস্তি পরিশোধের পর হতে প্রকল্প সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত রিয়েল এস্টেট আইন ২০১০ মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্তদের নির্ধারিত হারে মাসিক বাসাভাড়ার ক্ষতিপূণের ব্যবস্থা করা, সুদবিহীন কিস্তি সুবিধা চালু রাখা, ২০২০ সাল পর্যন্ত পরবর্তী চার কিস্তি বিলম্ব ফি বা সুদবিহীনভাবে একত্রে বা একাধিক কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত বরাদ্ধপ্রাপ্তদের পক্ষে আমরা বিভিন্ন সময়ে নির্মাণ কাজে অনিয়ম হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু সেগুলি যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিয়ে নিম্নবর্ণিত সিডিউল বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে নিম্নমানের মালামাল ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকল্পে জেনারেটর সেট এসেম্বল্ড এবং টেস্টেড থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে চাইনিজ এসেম্বল্ড এবং টেস্টেড লাগানো হয়েছে।