রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে চাপাতির আঘাতে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর ধরমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি সোহেল রানা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড শাখার (মাস্টাররোল) প্রহরী।
সূত্রে জানা যায়, সোহেল রানা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কয়েকজন পথরোধ করে চাপাতি দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। চাপাতির আঘাতে তার ঘাড়ে ও হাতে গুরুতর জখম হয়। পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ২ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে সোহেল রানার বরাত দিয়ে তার ভাতিজা সারোয়ার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিউটি শেষে চায়ের দোকান থেকে বাড়ির উদ্দ্যেশে যায়। পথে কয়েকজন তার মোবাইল ও ব্যবসার বিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে না দিলেও তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মোবাইল ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ধরমপুরের কর্মচারীর উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। সেই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এ ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।