তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালায় ৭তম শ্রেণিতে পড়ুয়া লিজা আক্তার (১২) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহান্দী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। সে মহান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ও একই গ্রামে হান্নান মোড়লের বড় মেয়ে। হান্নান মোড়লের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। এর মধ্যে লিজা সবার বড়। লিজার এই মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, লিজা আক্তার মহান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়া লেখা করে। তার শারীরিক ও মানষিক অবস্থা দুইটাই খারাপ। মুলতো লিজার ছিল জ্বীনের সমস্যা। এর আগে তিন বার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে কিন্তু লোকমুখে পড়ে যাওয়ায় সে ব্যার্থ হয়। তাকে বিভিন্ন জায়গায় হুজুর কবিরাজের বাড়িতে তার বাবা হান্নান কে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
লিজার মা ডলি বেগম জানান, সকালে মাছ ঝোল করে দুই মেয়েকে বারান্দায় খেতে দিয়ে আমি নিজে ঘরে বসে খাচ্ছিলাম। মেঝ ময়ে লিয়ামনি একটি রুইমাছের মাথা নিয়েছে আর লিজা একটি তেলাপিয়া মাছের মাথা নেয়। ঐমাছের মাথা নিয়ে দুইবোন তর্ক করলে আমি আমার মেঝ মেয়ে লিয়ামনিকে বলি লিজা তোর বড় বোন বলে বকাদিই। পরে আমি পানি আনতে যাই সেখান থেকে ৪০ থেখে ৪৫ মিনিট পরে ফিরে দেখি ঘরের ছিটকানি দেওয়া। দরজা ভেঙ্গে দেখি আমার লিজা আর নেই।
লিজার বাবা হান্নান মোড়ল জানান, আমার মেয়ের জ্বীনের সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের। আমি অনেক হুজুর কবিরাজ দেখিয়ে কোন সমাধান পাইনি। এর আগেও তিনবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কিন্তু আমাদের নজরে পড়ার কারণে পারেনি। আমি সকালে বিনেরপোতায় গিয়েছিলাম আর ওর মা পানি আনতে গিয়েছিল সেই সুযোগে এই ক্ষতি আমার হয়ে গেল।