তথ্যপ্রযুক্তি

ডাটা সেন্টার ব্যবহারে সতর্ক থাকার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) মডেলের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করছে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে প্রযুক্তি খাতে চীনের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ক্রমাগত বাড়ছে। এআই মডেলের প্রশিক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের ডাটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ক্লাউড কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব গিনা রাইমন্ডো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীনসহ অন্য কোনো দেশ এআই মডেলের প্রশিক্ষণে আমাদের ক্লাউড অবকাঠামোয় প্রবেশ করুক সেটি চাই না। তিনি আরো বলেন, আমরা চিপ রফতানিও নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাউডনির্ভর ডাটা সেন্টারেও এসব চিপ ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই যেকোনো ধরনের ক্ষতিকর কার্যক্রম বন্ধে এখানে যে কারো প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

প্রযুক্তিসহ এআই খাতে চীনের অগ্রগতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে আগে থেকেই জানিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে চীনকে বিরত রাখতে বিভিন্ন বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে। ক্লাউড পরিষেবা গ্রহণে ব্যবহারকারীরা কী চায় সে বিষয়ে জানার জন্য সম্প্রতি নো ইওর কাস্টমার নীতি কার্যকরের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং সাধারণের পর্যবেক্ষণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। রাইমন্ডো জানান, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ।

মার্কিন বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘চীন যেন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে না পারে সেজন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু তারা যদি আমাদের ডাটা সেন্টার ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দেয় তাহলে সেটা কতটা ভালো হবে, তা এখনই ভাবতে হবে। গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) নির্মাতা এনভিডিয়া চীনের জন্য আলাদাভাবে চিপ তৈরি করছে। গত মাসে দেয়া এক বিবৃতিতে গিনা রাইমন্ডো জানান, চীনের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে সহায়ক চিপ রফতানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কখনই অনুমোদন দেবে না।

নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা দেয়া কোম্পানিগুলোকে গ্রাহকদের পরিচয় ও তথ্য জানাতে হবে। বিশেষ করে নো ইওর কাস্টমার প্রোগ্রাম বা কাস্টমার আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে যারা অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করছে। মার্কিন সরকার ও প্রযুক্তিবিশারদদের মতে, এর মাধ্যমে বিদেশী ব্যবহারকারীদের পরিচয় শনাক্তের ন্যূনতম মানদণ্ড নির্ধারিত হবে এবং কোম্পানিগুলো বছর শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে বাধ্য থাকবে।

বাণিজ্য সচিব গিনা রাইমন্ডো জানান, কে বা কারা পরিষেবা গ্রহণ করছে ও এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সে বিষয়ে ক্লাউড কোম্পানিগুলোর জানার আগ্রহ থাকতে হবে। আর আমরা সে তথ্য নিশ্চিতেই কাজ করছি। সংগৃহীত তথ্য দিয়ে কী করা হবে সেটি প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। আদেশে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ এআই সিস্টেম ডেভেলপারদের সেফটি টেস্টের তথ্য সরকারকে জানাতে হবে। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার আগে সরকার এটি পর্যালোচনা করবে। সাক্ষাৎকারে রাইমন্ডো জানান, শিগগিরই কোম্পানিগুলোকে জরিপ পরিচালনার জন্য আহ্বান জানানো হবে এবং মতামত জানানোর জন্য ৩০ দিন সময় পাবে। কোনো কোম্পানি অস্বীকৃতি জানালে তা অবমাননা হিসেবে গণ্য করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads