জে,এস,সি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ও চলছে কোচিং বাণিজ্য

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

জে,এস,সি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ও চলছে কোচিং বাণিজ্য

নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা

  • লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ নভেম্বর, ২০১৯

লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে কোচিং বাণিজ্য। মানা হচ্ছেনা সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা। এমনকি জে,এস,সি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ও। স্কুল সময়ের বাহিরে কোচিং এ ছাত্রদের বাধ্য করার অভিযোগ থাকলেও নিয়ম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কোচিংএ দায়িত্বরত শিক্ষকরা বলছেন, স্কুল সময়ের বাহিরে ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের সময় দেয়া হচ্ছে।

আর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সরিৎ কুমার চাকমা বলছেন, জে,এস,সি ও জে,ডি,সি পরীক্ষা চলাকালীন সব কোচিং ও প্রাইভেট বন্ধ। তবে কোথাও কোথাও কোচিং করার খবর পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিভাবকরা বলছেন, তাদের সময়ে সময়ে কোচিং ছিলনা। বর্তমান সরকার কোচিং বন্ধ করার পরও শিক্ষকরা বাড়তি টাকা গুনতে চালু রেখেছে। এ ক্ষেত্রে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নেয়া হচ্ছেনা বিবেচনায়। এছাড়া আর যত ভাল স্কুলেই বাচ্চাদের পাঠানো হোকনা কেন, শেষ পর্যন্ত শিক্ষরা বাচ্চাদের কোচিংয়ে পাঠাতে বাধ্য করছেন।

জানা গেছে, ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোচিং বন্ধের নিষেধাজ্ঞার পরও শুধু প্রশাসনের তদারকির অভাবে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা না থাকায় বর্তমানে শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে চালানো হচ্ছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য।

লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কয়েকটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ৪/৫ জন শ্রেণি শিক্ষক দিয়েই চালু রেখেছেন কোচিং কাজ। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকের আর্থিক সংঙ্কট থাকা সত্তেও বাধ্য হয়েই ক্লাশ নিতে হচ্ছে কোচিং। ঘরে উঠেছে প্রত্যেক শ্রেনি শিক্ষকের এক একটি কোচিং সেন্টার। স্কুল সময়ে পড়ানো হচ্ছে কোচিং এ। আর বর্তমানে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উ/বি স্কুলের আশপাশ মদিন উল্যাহ্ চৌধুরী হাউজিং প্রতিনিয়নত এ প্রতিটি ব্যাচ থেকে ৩০-৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী কোচিং করে ফিরতে দেখা যায়। একই অবস্থা সদর উপজেলাসহ রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগিতেও।

লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উ/বি সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহমুদ মুত্তাকি জানায়, জে,এস,সি পরীক্ষার মধ্যে কোচিং বন্ধ নেই তাদের। মদিন উল্যাহ্ চৌধুরী হাউজিং কামার উদ্দিন স্যারের নিকট তাদের ব্যাচে সকাল ৯ টায় ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।তারা প্রত্যেকেই কোচিং গ্রহণ করছেন।

লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এনামুল হক জানান, তার ক্লাশ নেয়ার স্কুল সময় হচ্ছে ৯ টা থেকে ১ টা এ সময়ের বাহিরে তিনি ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদেও কোচিং সপ্তাহে ৬ দিন সময় দিচ্ছেন। তিনি প্রতিজন ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকা যতসামান্য নিচ্ছেন। এতে অন্যায়ের কী বলে কথা ছুড়েন তিনি।

রিকসা চালক তাজল ইসলাম জানান, তার এক ছেলে এক মেয়ে। তাদের একজন স্কুলে আরেকজন মাদ্রাসায় পড়ে তাদেরকে লেখা-পড়ার খরচ সংগ্রহকরতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে তাকে। এখন আবার তাদের স্কুলের নতুন নিয়ম কোচিং বাধ্যতার জন্য দিনরাত রিকসা চালাতে হচ্ছে। তার মতে ক্লাশে যদি কোচিং এর কাজটা শেষ হতো তা হলে তার বাড়তি পরিশ্রম করতে হতো না। একই কথা বলতে দেখা গেছে অনেক অবিভাবকেরই।

লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা জানান, ক্লাশে শিক্ষার্থীর পড়াশোনা নিশ্চিত করা গেলে কোচিংয়ের কোনো প্রয়োজন হয় না। স্কুলে শিক্ষকতার পরে কোচিং এর সুযোগ নাই’ বিষয়টি আইন পরিপন্থি। প্রমান পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads