হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি হিসেবে মহাকাশে নতুন একটি টেলিস্কোপ পাঠাচ্ছে নাসা

ছবি ইন্টারনেট

টেলিযোগাযোগ

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ পাঠানোতে ফের বিলম্ব

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ জুন, ২০১৮

বিখ্যাত হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি হিসেবে মহাকাশে নতুন একটি টেলিস্কোপ পাঠাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। প্রায় দুই দশক আগে এর নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হলেও ২০১৬ সালে প্রথম এটি উৎক্ষেপণের চিন্তা করা হয়। পরে সেই সম্ভাব্য সময় বদলে বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে মহাকাশে পাঠানো হবে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।

তবে গত বুধবার নাসা এক ঘোষণায় জানিয়েছে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি তারা ২০১৮ সালেও মহাকাশে পাঠাতে পারবে না। ২০২১ সালকে নাসা টেলিস্কোপটি মহাকাশে পাঠানোর নতুন সময় নির্ধারণ করেছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এই তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাবল টেলিস্কোপের এই উত্তরসূরিকে ২০২১ সালের ৩০ মার্চের আগে মহাকাশে পাঠানো সম্ভব নয়। টেলিস্কোপটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, তার কিছু প্রাযুক্তিক বিষয় নির্মাতাদের এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

নাসা বলেছে, টেলিস্কোপটির স্থায়িত্ব, কাজের ধরন ও তাদের প্রত্যাশার সমন্বয় হতে তাতে কিছু উন্নয়ন দরকার। সেই বিষয়গুলোর কারণেই এ বছর মহাকাশে পাড়ি জমাতে পারছে না।

প্রকল্প বিজ্ঞানী জন মেথার বলেন, আমরা আমাদের টেলিস্কোপ নির্মাণ সমাপ্ত করেছি। তবে তার সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করছে কি না সেজন্য আরো কিছু যাচাই-বাছাই করতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে এটা সঠিকভাবে কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, নাসা এই টেলিস্কোপকে বলে নতুন প্রজন্মের টেলিস্কোপ। হাবল টেলিস্কোপ থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী এটি। টেলিস্কোপটির মূল আয়না বেরিলিয়াম ও সোনার প্রলেপ দিয়ে তৈরি। এর ব্যাস প্রায় সাড়ে ছয় মিটার। তবে এর আসল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রা-রেড (তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের টেলিস্কোপ)। ইনফ্রা-রেড বা অবলোহিত টেলিস্কোপ আসলে এমন ছবি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে যা প্রচলিত অন্য টেলিস্কোপে এখন সম্ভব নয়।

এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে থাকবে। অধিকাংশ মহাকাশযান বা কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে আবর্তন করলেও এই টেলিস্কোপটি সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করবে। টেলিস্কোপ যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে তাই রয়েছে হিট-শিল্ড বা তাপ রক্ষাকারী ঢাল। এর অপারেটিং তাপমাত্রা শূন্যের নিচে ২২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিজ্ঞানীদের আশা এটি উৎক্ষেপণ করতে পারলে দূরবীক্ষণ যন্ত্রটির মূল দুটি বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে, ছায়াপথের জন্ম ও বিবর্তন এবং নক্ষত্র ও গ্রহগুলোর সৃষ্টি সংক্রান্ত গবেষণা সহজ হবে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads