জীবিত মুজিবের চেয়েও মৃত মুজিব এখন অনেক বেশী শক্তিশালী: ঢাবি উপাচার্য

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

জীবিত মুজিবের চেয়েও মৃত মুজিব এখন অনেক বেশী শক্তিশালী: ঢাবি উপাচার্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ অগাস্ট, ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জীবিত মুজিবের চেয়েও মৃত মুজিব এখন অনেক বেশী শক্তিশালী।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। শিশু-কিশোর-যুবকসহ সকল বয়সের মানুষের মাঝে আজ বঙ্গবন্ধুর জীবন- দর্শনের প্রভাব প্রবাহিত হচ্ছে।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের একটি ঘৃণ্য দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনের কথা ছিল। তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে সাজ সাজ রব চলছিল। কিন্তু তার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হয়নি। এর আগেই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে তাকে শাহাদাৎ বরণ করতে হয়।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী প্রতিবাদকারীদের হত্যা করে সেই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয়। দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, যাতে কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে না পারে। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ এখন পরিত্রাণ পেয়েছে। শিশুরা আজ বঙ্গবন্ধুর ছবি, ৭ মার্চের ভাষণের ছবি, তার দৈনন্দিন জীবনের ছবি আঁকছে। গ্রামগঞ্জ, পাড়া, মহল্লা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শনভিত্তিক কর্মনীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপাচার্য বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু গৃহীত কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল- সকল ভবন ও হলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং চারুকলা অনুষদ আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads