জামালপুরে বন্যায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

জামালপুরে বন্যায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

  • জামালপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ জুলাই, ২০১৯

জামালপুরে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে হ্রাস পেতে শুরু করলেও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরাম, দশানীসহ সব নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদ সীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, জামালপুর সদর ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ৬১ টি ইউনিয়ন ও ৭ টি পৌরসভা বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব এলাকার সাড়ে ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। পানিবন্দী মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও উচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চরম বিপাকে রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার বেশিরভাগ সড়ক ও রেললাইন ডুবে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

বন্যার কারনে জেলার ১ হাজার ১০৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোপা-আমনের বীজতলা, আউশ ধান, পাট ও সবজি, ভুট্টাসহ ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। বন্যায় জেলার কয়েক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বন্যা দুর্গতদের মাঝে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বানভাসীরা। কোথাও ত্রাণের খবর পেলে বানভাসী মানুষ সেখানে হুমড়ী খেয়ে পরছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারিভাবে ৮৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৪ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads