জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত, শারীরিক লাঞ্ছনার ঘটনায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ১১ শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী মারধর এবং মাদকসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক অফিস আদেশের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের (৪৫ ব্যাচ) ১৬ ছাত্রী ও একই বিভাগের স্নাতকোত্তরের (৪৩ ব্যাচ) এক ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ ও নিপীড়নের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ঐ বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের (৪৫ ব্যাচ) মো. নাঈম-ই-আক্তার, ইজাজ আহমেদ, মো. মেহেদী হাসান ও মো. ইকবাল হোসেন। তাদেরকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই ঘটনায় বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের (৪৫ ব্যাচ) মো. সজিব হোসাইন, মো. আল-আমিন শৈশব, মো. আবু নাঈম ও জি এম তারিকুল ইসলামকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও একই বিভাগ ও ব্যাচের মো. শাহরিয়ার খানকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং নাহিদুল ইসলাম ও মো. ওমর ফারুককে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে, গত ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তিন শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মো. রিজওয়ান রাশেদ সোয়ান (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, ৪৭ ব্যাচ), কেএম মাহিদ হাসান (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ৪৭ ব্যাচ) ও আহসানুজ্জামান শাওনকে (মার্কেটিং বিভাগ, ৪৭ ব্যাচ) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম আমালউদ্দিন হলের ৩৩৫ নং কক্ষে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের অভিযোগে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী (৪২তম ব্যাচ) মো. সাজ্জাদ হোসেন ও বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী (৩৯ ব্যাচ) মো. মইন উদ্দিনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
এছাড়াও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তরের (৪৩ ব্যাচ) আজগর হোসেন রাব্বিকে একই বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের (৪৫ ব্যাচ) এক ছাত্রীকে নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে অভিযোগে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।