আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে আট দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি উত্থাপন করা হয়।
দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দাবি বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানায় দলটি। দাবিগুলো হলো- ১. অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকার গঠন করতে হবে। ২. নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা চালুর ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ৩. ২০-দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীকে নিঃশর্তে মুক্তি প্রদান ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ৪. এখন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখতে হবে, নতুন করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া বন্ধ এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কথিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করতে হবে। ৫. বিচার বিভাগের ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে ঢেলে সাজাতে হবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। ৬. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং তাদের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ৭. রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম হওয়া নাগরিকদের অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দিতে হবে এবং গুম-খুনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে। ৮. আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকে এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদের সভাপতিত্বে সভায় লিখিত দাবিগুলো তুলে ধরেন সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. তাসনিম আলম প্রমুখ।