জবি শিক্ষার্থীকে হামলায় বিচারের দাবি

জবি শিক্ষার্থীকে হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানবন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

জবি শিক্ষার্থীকে হামলায় বিচারের দাবি

  • জবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানবন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সামনে এ মানবন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৭ আগস্ট পারিবারিক শত্রুতার জেরে টাঙ্গাইল জেলার সখীপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী রনি তালুকদার ও তার মাকে তার প্রতিবেশি জব্বার তালুকদার, নুরুল তালুকদারসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় রনি তালুকদারের মাথায় গুরুতর আঘাতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান। তাকে উদ্ধার করে সখীপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। রনি তালুকদারকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার সময রাস্তায় তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয। এনাম মেডিকেল কলেজে রনি তালুকদারকে নিউরোলজি বিভাগে ১০ দিন লাইফসাপোর্টে ও ২৮ দিন আইসিইউতে নিবিড় চিকিৎসার জন্য রাখা হয়। এখানে রনির মাথায় অপারেশন করে মাথার খুলি খুলে নতুন করে খুলি প্লাস্টিকের খুলি লাগানো হয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাকে ডাক্তাররা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নায়ের ক্রিস্ট মেডিকেল কলেজে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ক্রিস্ট মেডিকেল কলেজে তার মাথার খুলি আরেকবার প্রতিস্থাপন করা হবে। কিন্তু জবি শিক্ষার্থী রনিকে ন্যাক্কারজনকভাবে হামলার ঘটনায় স্থানীয় সখীপুর থানায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে পুলিশ মামলা নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে আটক করেনি। এঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মানববন্ধনে রনির বাবা শাহজাহান তালুকদার বলেন, ‘হামলাকারীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশারী হওয়ায় পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে। আর এখন মামলা নিলেও কাউকে আটক করেনি। এদিকে ছেলের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত জমি বিক্রি করা প্রায় দশ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। একদিকে ছেলের চিকিৎসা আরেক দিকে মামলা আমি কোন দিকে যাব? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে সখীপুর থানার ওসি এসএম তুহিন মামলা গ্রহনে গড়িমসি ও আসামীকে আটকে দীর্ঘসুত্রতার বিষয়ে বলেন আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদেও আটক করা হচ্ছে না বিষয়টি ঠিক নয়। তাদেও দুইজন জামিনে আছেন আর দুই জন পলাতক থাকায় তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads