সমালোচনা এবং বিনিয়োগকারীদের চাপ থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যানের পদ ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
‘হিউম্যান কোড’ শীর্ষক এক টিভি অনুষ্ঠানের জন্য জাকারবার্গের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিল সিএনএন। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যু সম্পর্কেই মূলত তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গকে নিয়েও সম্প্রতি বেশ সমালোচনা হয়েছে। ডিফাইনারস নামক একটি পিআর প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগের বিষয়ে শেরিল আগে থেকেই জানতেন, এমন অভিযোগও এসেছে। এর প্রেক্ষিতে জাকারবার্গের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল শেরিলকে অপসারণের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না। জবাবে জাকারবার্গ বলেন, ‘শেরিল এ কোম্পানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গত ১০ বছর ধরেই তিনি আমার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে কাজ করছেন। আমি আশা করছি আগামী দশকেও একসঙ্গে কাজ করতে পারব।’
এরপর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় চেয়ারম্যান পদ নিয়ে। গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন তিনি জানিয়েছেন এ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন না। এবার সিএনএনের পক্ষ থেকে এ প্রশ্ন করা হলে একই জবাব দিয়েছেন জাকারবার্গ। তিনি বলেছেন, ‘তেমন পরিকল্পনা নেই। আমি মনে করি না তেমনটি ভাবার কোনো যুক্তি আছে।’
সমালোচক এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে কুৎসা রটাতে একটি পিআর কোম্পানিকে নিয়োগ দিয়েছিল ফেসবুক, সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ কথা প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস। এরপর থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। সম্প্রতি ডিফাইনারসের একজন সাবেক কর্মী এনবিসি নেটওয়ার্ককে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এনটিকে নেটওয়ার্ক নামক একটি নিজস্ব সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করে ডিফাইনারস। এ সংবাদমাধ্যমটি মূলত ভুয়া খবর ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন গ্রাহক প্রতিষ্ঠান অর্থের বিনিময়ে এখানে সংবাদ প্রকাশ করে। এ ছাড়া ফেসবুকে একটি ভেরিফাইড পেজও রয়েছে এনটিকে নেটওয়ার্কের। ভুয়া খবর প্রকাশের পর বড় সংবাদমাধ্যমের নজরে আনতে সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার দেওয়া হয়।