বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ময়লার স্তূস্পে ২২টি অপরিণত শিশুর (ফিটাস) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা সেইসাথে পাশাপাশি হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. খুরশীদ জাহান বেগম এবং ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ জোৎসা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাত ১২টায় হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৩১ অপরিণত শিশুর (ফিটাস) ভ্রুণ উদ্ধারের ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন।
যেহেতু চিকিৎসক ও নার্সদের (সেবিকা) বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার (সাময়িক বরখাস্ত) এখতিয়ার হাসপাতাল প্রশাসনের নেই। তাই বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অধিদফতরে সুপারিশ পাঠানো হচ্ছে। যেখানে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা উল্লেখ থাকবে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব মানব ভ্রুণ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপের মাঝে দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে তারা ভ্রুণগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। রাতেই হাসপাতাল প্রশাসন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওইগুলো হাসপাতালের গাইনি বিভাগ থেকে ফেলা হয়েছে।
পরে হাসপাতাল পরিচালক জানান, অপরিণত শিশু বা ফিটাসগুলো মূলত গাইনি বিভাগে সংরক্ষণ করে রাখা ছিলো। যা মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে আসতো। এগুলো মেডিকেল কলেজেও হাসপাতালের মতো একইভাবে সংরক্ষিত থাকে।
দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর আগে থেকে এগুলো সংরক্ষণ করায় এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। ফলে ফিটাসগুলো বাতিল হিসেবে গণ্য হওয়ায় তা নির্ধারিত প্রকৃয়ার মাধ্যমে সমাধিত করা উচিত ছিলো। কিন্তু এভাবে ময়লার স্তূপের মধ্যে উম্মুক্তভাবে ফেলার কোনো নির্দেশনা যেমন নেই, তেমনি উচিতও হয়নি।