চালক নেশাগ্রস্ত থাকলে চলবে না গাড়ি

চালক নেশাগ্রস্ত থাকলে চলবে না গাড়ি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশি তরুণের আবিষ্কার

চালক নেশাগ্রস্ত থাকলে চলবে না গাড়ি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কিংবা ঘুমিয়ে গাড়ি চালালে যাত্রী ও গাড়ির মালিকের কাছে পৌঁছে যাবে সতর্কবার্তা। চালক নেশাগ্রস্ত থাকলে স্টার্ট নেবে না গাড়িও। ‘ড্রাইভার অ্যান্টি স্লিপ অ্যান্ড অ্যালকোহল অ্যালার্ম ডিটেক্ট’ নামের একটি প্রযুক্তি ঘটাবে এসব ঘটনা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই প্রযুক্তির বাস্তব রূপ দিয়েছেন বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছানোয়ার হোসেন।

সম্প্রতি তার এ প্রযুক্তি প্রথমে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত স্কিল কম্পিটিশনে এবং পরে রংপুরে বিভাগীয় স্কিল কম্পিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

যেকোনো গাড়ির ড্যাশবোর্ডের সঙ্গে কনসুলিং করে সম্পৃক্ত করা থাকবে আইবিলিং ও অ্যালকোহল সেন্সর। চালকের সামনে এ আইবিলিং সেন্সর ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে চালককে ডিটেক্ট করবে। পাশাপাশি গাড়ির সেলফের সঙ্গে সংযুক্ত করা থাকবে গন্ধ সংবেদনশীল ম্যাগনেটিক রিলে। চালক অ্যালকোহল জাতীয় কোনো কিছু গ্রহণ করলে গাড়ির সার্কিট অন হবে না। ফলে গাড়িও স্টার্ট হবে না।

এ সেন্সরের সঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি মোবাইলে ডাটা সেট করা থাকবে। গাড়ি চলন্ত অবস্থায় চালক নেশা করলে বা ঘুমিয়ে পড়লে তিন সেকেন্ডের মধ্যে সতর্কবার্তা মোবাইলে বেজে উঠবে। ফলে গাড়ির মালিক, ম্যানেজার বা সুপারভাইজার চালককে সতর্ক করতে পারবেন। এ অ্যালার্ম সিস্টেম দূরপাল্লার গাড়ির ভেতরেও সংযোগ করা যাবে। ফলে চালকের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন যাত্রীরাও।

দীর্ঘ এক বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সফল এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফলতা পাওয়া ছানোয়ার হোসেনের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দহিলা বড়হাট পাড়ায়। তার বাবা আবদুল আজিজ বাসচালক। তার বড় দুই ভাইও গাড়ির চালক। মা ছানোয়ারা বেগম মারা গেছেন।

ছানোয়ার হোসেন বলেন, পরিবারে বাবা ও দুই ভাই গাড়িচালক। ড্রাইভিংয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে আমার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা যায় কি না সেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করি। একপর্যায়ে দুর্ঘটনা রোধে একটি প্রযুক্তি প্রকল্প হাতে নিই। শিক্ষক ও কয়েকজন সহপাঠীর সহযোগিতায় অবশেষে সফল হয়েছি।

ছানোয়ারের এক শিক্ষক সুমন কুমার সাহা বলেন, ছানোয়ার হোসেনের এই আবিষ্কার আসলেই অবিশ্বাস্য। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

স্কিল কম্পিটিশনে ছানোয়ারের প্রযুক্তি দেখে মুগ্ধ কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলেন, গাড়ির চালকরা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। চালকরা সতর্ক হবেন। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads