প্রাকৃতিক দুর্যোগ

চাঁদপুর মেঘনা ধনাগোদা বাধে ২০০ মিটার জুড়ে হঠাৎ ভাঙন

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাধে হঠাৎ করে ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। চলতি মাসে মেঘনা নদীর পানি কম থাকলেও শুক্রবার বিকেলে পানি বৃদ্ধি পায়। যার ফলে রাত ৯টার দিকে বেড়িবাধের ফরাজিকান্দি জনতাবাজার সংলগ্ন এলাকায় বাধ হঠাৎ নিচের দিকে দেবে যায়। বর্তমানে মেঘনা নদীর পানি বিপৎ সীমার ৪.০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার সকাল থেকেই বাধ রক্ষায় কাজ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত শ্রমিকরা।

খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার আলাউদ্দিন বলেন,শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন কাচারীকান্দি এলাকা দিয়ে মেঘনা নদী লাগোয়া মূল বাধে ভাঙন দেখা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে নদী তীরবর্তী অংশের ২০০ মিটার অঞ্চল ভেঙে নদীতে বিলীন হতে থাকে। পানি বৃদ্ধির কারণে ভাঙ্গন ক্রমশ আরো বাড়তে থাকে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বাঁধের ব্যাপক অংশ ভেঙে যায়।

তিনি আরো বলেন,ভাঙনের খবর ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়ের মধ্যে সহস্রাধিক লোকজনের সমাগম ঘটে। কয়েক শতাধিক যুবক নিজ উদ্যোগে ৭ থেকে ৮ ট্রলি গাড়িতে করে জনতা বাজার,চরমাছুয়া এলাকায় বাঁধ রক্ষার কাজে প্রস্তুত করা কয়েক সহস্রাধিক জিও টেক্সটাইল বালির বস্তা এনে বাঁধ রক্ষার কাজে নেমে পড়েন এবং অস্থায়ীভাবে বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা চালান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের আওতাধীন মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, হঠাৎ করেই বেড়িবাধের এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে পানি ভাঙন এলাকায় পানি প্রবাহ বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছি এবং সকাল থেকে বাধ রক্ষায় শ্রমিকরা কাজ করছেন। আমাদের সকল কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করছেন। আজকের মধ্যেই আশা করি কাজ শেষ হবে।

১৯৮৬ সালে মতলব উত্তরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্পটি ১৭ হাজার হেক্টর জমি নিয়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নামে চালু হয়। এই প্রকল্প অভ্যন্তরে কৃষকের জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা নিরাপদ রাখতে ৬৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তা ছাড়া প্রকল্প অভ্যন্তরে পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশনের জন্য উদমদী ও কালিপুরা এলাকায় পৃথক দুটি স্লুইস গেইট স্থাপন করা হয়।

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প ভাঙ্গনের কথা শুনে স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল শনিবার দুপরে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান বাঁধ রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads