চাঁদপুরে মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে মাঠের পর মাঠ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

চাঁদপুরে মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে মাঠের পর মাঠ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জুন, ২০২০

চাঁদপুরের হানারচর এলাকায় চলছে মেঘনা নদীর ভাঙন। এতে ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে মাঠের পর মাঠ, ফসলি জমি, বসতঘর, গাছপালাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। যদিও ভাঙনরোধে এখনো সংশ্লিষ্টরা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে আসন্ন বর্ষায় জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে ওই এলাকাটি। তাই মেঘনার ভাঙন থেকে বাপ-দাদার শেষ সম্বলটুকু জরুরি ভিত্তিতে রক্ষার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সম্প্রতি সরেজমিন চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, স্রোত ও নদীর ঢেউয়ে ভাঙছে নদীর পাড়। ওই ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রাম থেকে আখনের হাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। যদিও ইতোপূর্বে ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে ২শ’ থেকে ৩শ’ মিটার জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে।

জানা গেছে, নদীভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী হালদার বাড়ি, সরকার বাড়ি, বেপারী বাড়ি, আখন্দ বাড়ি, দেওয়ান বাড়িসহ অনেক পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও ভাঙন আতংঙ্কে অনেকেই বসতঘর সরিয়ে নিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় নদীভাঙন চললেও নেয়া হচ্ছে না কোনো ধরনের ব্যবস্থা। এতে করে ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতঘর, গাছপালা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এমনকি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বেড়িবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ অন্যান্য স্থাপনা।

গোবিন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান জমাদার, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর ও এ বি এম তারেক আলম বলেন, চাঁদপুর শহর থেকে হাইমচর উপজেলা পর্যন্ত মেঘনা নদীর ভাঙনরোধে নদীর পাড়ে বল্ক ও জিও ব্যাগ ভর্তি বালি ফেলা হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে আমাদের এই অঞ্চলে কোন কাজ করা হচ্ছে না। গত বর্ষায়ও আমরা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি। এখনো যদি দ্রুত কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা না হয় তাহলে আমাদের বাপ-দাদার বসতভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে। আর আমাদের মাথা গোঁজার কোন ঠাঁই থাকবে না।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে চাঁদপুরবাসীকে রক্ষা করতে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদীভানরোধ করেছে। কিন্তু হানারচরের ওই ৩ কিলোমিটার এলাকাটি রক্ষায় এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই ওই জনপদটি রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর আবেদন জানাচ্ছি।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, হানারচর ইউনিয়নটিকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads